নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট,দক্ষিণ দিনাজপুর :- বালুরঘাট শহরে প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার পুকুর ভরাটের ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল। সোমবার বিকেলে শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের যুব সংঘ পাড়ায় ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ, এলাকার বাসিন্দা কমল নাথ ও কাদম্বিনী নাথের নামে থাকা প্রায় ১৭ শতকের একটি জলা জমিতে বেশ কয়েকদিন ধরে মাটি ফেলে ভরাটের কাজ চলছিল। এদিন স্থানীয়দের তরফে পাওয়া যে অভিযোগ পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যান বালুরঘাট পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার সহ এক বিশেষ প্রতিনিধি দল। তারা গিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, জলাভূমি ওই জমিটির চরিত্র কাগজে কলমে বাস্তু দেখালেও বি এল আরও ম্যাপের সাথে জমির চরিত্রের অসংগতি রয়েছে। তাই জমির বৈধতা যাচাই না হওয়া পর্যন্ত পুকুর ভরাটের কাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত বাড়ি মালিকদের দাবি, জমিটি বাস্তু হিসেবেই নথিভুক্ত। প্রথমে চাষআবাদ করা হলেও পরে বাড়ি করতে মাটি তোলা হয়েছিল, আর যে কারনেই সেটি ডোবার রুপ নিয়েছে বলে দাবি করেছেন জমির মালিক।
জমির মালিকের তরফে ভক্তি দেবনাথ বলেন, তাদের জমিটি সম্পুর্ন বাস্তু। মাটি কেটে পুকুর বানানো হয়েছিল। এখন তা ভরতি করে বিক্রি করবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুরসভার নির্দেশে সেই ভরাটের কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন, শহরাঞ্চলে পুকুর ভরাট কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তিনি আরো বলেন, “জলাভূমি সংরক্ষণে পুরসভা অত্যন্ত সচেতন। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএল আরও-র সাথে সমন্বয় করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুন্তল সরকার বলেন, সকালে খবর পেয়েই জমির মালিককে এব্যাপারে অবহিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে পুরসভা কতৃপক্ষ এলাকায় এসে পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে, জলাভূমি ভরাটের প্রবণতা শহরে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনই ভূগর্ভস্থ জলের স্তর ক্রমশ কমছে। এদিনের এই ঘটনা নিয়ে বাসিন্দারা প্রশাসনের কড়া ভূমিকার প্রশংসা করলেও অন্য একটি অংশ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে।