মালদার গাজোলে যোগ্য হয়েও আবাস যোজনার ঘর নিলেন না পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শিখা মন্ডল সরকার।

0
11

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- —-মালদার গাজোলে যোগ্য হয়েও আবাস যোজনার ঘর নিলেন না পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শিখা মন্ডল সরকার। যে জায়গায় আবাস যোজনা নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় দুর্নীতি রাজ্যে চলছে মারামারি আর খুনো খুনি তেমনি একটি নজিরবিহির ঘটনা দেখা গেল গাজোলে। গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শিখা মন্ডল সরকার ২০১৭ সালে আবাস যোজনার ঘরের আবেদন করেছিলেন। ‌ তারপর মাঝে কয়েকটা বছর চলে গেলেও তিনি জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পদ সামলে জনপ্রতিনিধির কাজ করে চলেছেন। যদিও আবার যোজনার ঘর পাওয়া তার যোগ্য। তার বাড়িঘর কাঁচা । ওই বাড়িতেই তিনি বহু অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন পরিবারের সাথে।। পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শিক্ষা মন্ডল সরকার জানান তার পরিবারের তিন তিনটে ঘর স্যাংশন হয়েছিল। কিন্তু তার বক্তব্য জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি ভাবলেন যে আমার চেয়ে যারা আরও দরিদ্র রয়েছে তারা যেন এই তিনটি ঘর পাই। তাই নিয়ে গাজোল ব্লক দপ্তরের বিডিও কে লিখিতভাবে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি জানান যে তার নামে ও তার পরিবারের নামে মোট তিনটি আবাস যোজনার ঘর এসেছে। তা তিনি বাতিল করার জন্য আবেদন জানান । যাতে ওই তিনটে আবাস যোজনা ঘর দরিদ্র সীমার নিচে যারা আছে তারা যেন পায়। গাজরের বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাস বলেন একজন সত্যিকারের প্রাপক হিসেবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং তার দুই আত্মীয়র নামে আবাস যোজনার নাম নথিভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শিখা মন্ডল সরকার বলেন সেই ঘরগুলো তাদের না দিয়ে যারা আরও গরীব রয়েছে তাদেরকে দিয়ে দিলে ভালো হয়।। পুরো বিষয়টি লিখিতভাবে তিনি জানান শিখা দেবী। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেনও জানান পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শিখা দেবী এবং কৃষি কর্মদক্ষ মহবুল আলম আবাস যোজনার ঘর পেয়েও তারা ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে তাদেরকে আমরা স্যালুট জানাই। যদিও অন্য জায়গায় যেভাবে চলছে আবার যোজনার ঘর নিয়ে দুর্নীতি মারপিট। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে আমাদের গাজোল ব্লক এ স্বচ্ছ ভাবে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ‌ পাশাপাশি ব্লক দপ্তর প্রাঙ্গনে প্রাপক তার নামের তালিকা টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গাজোল ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শিখা মন্ডল সরকার ও পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহবুল আলম তারা তাদের নামে আবাস যোজনার ঘর ফিরিয়ে দিয়েছেন। সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।