সপ্তসতী যজ্ঞ ও বাৎসরিক পুজো ৫১ পীঠের এক পীঠ তমলুকের দেবী বর্গভীমা মন্দিরে,পুজো চলবে সারাদিন।

0
14

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- সতী ৫১ পীঠের এক পিঠ দেবী পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে সপ্তসতী যজ্ঞ ও বাৎসরিক পুজো উপলক্ষে শনিবার সেজে উঠেছে তমলুকের ইতিহাস বিজড়িত মা বর্গভীমা। সারা বছরই এই পবিত্র যজ্ঞের জন্য মুখিয়ে থাকেন তমলুক সহ জেলার মানুষ। বহুদূরান্ত থেকেও ভক্তরা এই যজ্ঞে সামিল হন এদিনের যোগ্য অনুষ্ঠান দেখার জন্য। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পুজো চলে। সূর্যের আলোতে আতস কাঁচে ফেলে এই যজ্ঞের আগুন ধরানো হয়। বেলকাঠ, ঘি, ধুনো, কর্পূর মাখানো থাকে । এই যজ্ঞে দশম মহাবিদ্যা ছাড়াও গণেশ, ব্রহ্মা,বিষ্ণু, মহালক্ষী, মহাসরস্বতী, মহাকালি, রুদ্র, শান্তি, নবগ্রহ, বরুণ, বাচস্পতি সহ বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা হয়। বিশ্ব শান্তি নেমে আসুক কল্যাণ হোক সবার। এই মহাযজ্ঞের মূল উদ্দেশ্য হল বিশ্ববাসীর শান্তি কামনায়। প্রতিবছর কাত্যায়নী চতুর্দশীর তিথি ধরে মায়ের বাৎসরিক পুজো এবং সপ্তসতী মহাযজ্ঞের অনুষ্ঠান হয়। এই মহাযজ্ঞে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কুইন্টাল কাঠ এবং প্রায় আড়াই থেকে তিন কুইন্টাল ঘি পড়ানো হয়, পাশাপাশি হোমে দেয়া হয় বিভিন্ন ধরনের ভেষজ। সমস্ত বিশ্ববাসীর শান্তি কামনায় এই সপ্তসতী মহা যজ্ঞ করা হয় এমনটাই জানেন মন্দিরের সেবাইত সমিরন অধিকারী।
কাত্যায়নী চতুর্দশীতে ব্রহ্ম মুহূর্ত থেকে মায়ের পুজো পাঠ শুরু হয়, গতকাল মায়ের কাছে অভিষেক হয়, এবং আজ সারাদিন ধরে চলবে মায়ের যোগ্য অনুষ্ঠান। চন্ডী তে যে ৭০০ শ্লোক রয়েছে সেই স্লোক পাঠ করে মায়ের কাছে যজ্ঞে আহুতি দেওয়া হয়। তার সঙ্গে পুজো হয় দশমহাবিদ্যার, আজকে বিশেষভাবে মায়ের ভোগ রান্না করা হয় এমনটাই জানেন মন্দিরের পুরোহিত প্রণব চক্রবর্তী।