নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- —-রাজ্য সরকারের আবাসের খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই একের পর এক স্বজন পোষণের অভিযোগ উঠে এসেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকে। এবার খোদ শাসক দলের পঞ্চায়েত সমিতির ঘরজামাই থাকা সহ-সভাপতির শশুর,ভাতিজা,বৌদি ও জামাইয়ের নামে পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাসের তালিকায় ঘর মঞ্জুর হয়েছে বলে অভিযোগ। বাদ পড়েছে বহু কাচা বাড়ি। বিডিও সহ সার্ভে করা সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময় ঘর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে শনিবার সকালে বিক্ষোভ দেখালেন মশালদহ অঞ্চলের বঞ্চিত যোগ্য উপভোক্তা ও কংগ্রেস কর্মীরা। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির শাসক দলের সহ-সভাপতি স্বপন কুমার ঘোষ যিনি ১৫ বছর ধরে শশুর বাড়িতে ঘরজামাই থাকেন। এবার অভিযোগ উঠেছে তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে নিজের শশুর, ভাতিজা, বৌদি ও এমনকি নিজের জামাইয়ের নাম সহ একাধিক আত্মীয়ের নাম আবাস তালিকায় তুলিয়েছেন। এমনকি সেই তালিকাতে তাদের ঘর মনজুরও হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ তাদের প্রত্যেকেরই পাকা বাড়ি রয়েছে। কিন্তু তার নিজের গ্রাম পঞ্চায়েত সুলতান নগর সহ হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লক এলাকা তে কাঁচা বাড়ি সহ যোগ্য উপভোক্তাদের নাম তালিকা তে আসেনি। এই নিয়ে তোলপাড় হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকা। আর এই অভিযোগ তুলে ব্লক কংগ্রেস এর নেতৃত্বে স্থানীয় বঞ্চিত উপভোক্ততারা শনিবার বিক্ষোভ দেখান করিয়ালী এলাকায়। তাদের দাবি এলাকায় ঘরের তালিকা তৈরিতে ব্যাপক হারে দুর্নীতি হয়েছে। শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি স্বপন ঘোষ প্রভাব খাটিয়ে শশুর সহ নিজের একাধিক আত্মীয়র নামে ঘর মঞ্জুর করিয়েছেন। আর এই কাজের সরাসরি জড়িত রয়েছেন ব্লকের বি ডিওসহ সার্ভে করা সরকারি কর্মীরাও, বলে এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বঞ্চিত উপভোক্তাদের। যদিও সহ-সভাপতি স্বপন ঘোষ এর দাবি তিনি বিগত তিন মাস ধরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এলাকায় অনুপস্থিত থাকার কারণে তার অগোচরেই তার আত্মীয়দের নাম তালিকায় এসেছে। তিনি তালিকা থেকে নাম গুলি বাদ দেওয়ার জন্য ব্লকে জানিয়েছেন। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের বিডিও তাপস পাল বলেন, এ সম্পর্কে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা পাকা বাড়ি থাকা উপভোক্তাদের নাম হোল্ড করেছি। আপাতত এরা কোন টাক পাবে না। এ বিষয়ে জেলাতেও জানানো হয়েছে।