সুন্দর অপরাজিতা ফুলের চাষ করে তাক লাগালেন পাঁশকুড়ার মাইশোরা গ্রামের এক ফুল চাষী।

0
20

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- অনেকেই সখে বাড়ির সৌন্দর্য শোভা বৃদ্ধির জন্য বাড়ির মূলগেটে বা উঠোনের সামনেই অপরাজিতা ফুলের গাছ লাগিয়ে রাখেন। নীল অপরাজিতা ফুটে থাকে গাছের বিভিন্ন শাখা প্রশাখায়। যদিও ২৬ প্রজাতির অপরাজিতা ফুল হয়। তার মধ্যে নীল এবং সাদা অপরাজিতা পুজো পার্বণ সহ বিভিন্ন কাজে লাগে। কিন্তু এবার সেই নীল অপরাজিতা চাষ দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার মাইশোরা এলাকায়। গণেশ জানা নামে এক চাষী, তিনি সারা বছরই এই অপরাজিতা ফুলের চাষ করেন, এবারেও সেই অপরাজিতা চাষ করে তাক লাগালেন তিনি।
ফুলের শহর মানেই পাঁশকুড়া, বর্তমান শীতের মরশুমে চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, গোলাপ সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল চাষ করে চাষিরা। কিন্তু এবার এক চাষীকে নীল অপরাজিতা ফুল চাষ করতে দেখা গেল। তিনি নিজের জমিতেই বছরের পর বছর ধরে এই অপরাজিতা চাষ করে আসছেন, আর তাতেই তিনি লাভের মুখ দেখতে পান। এই নীল অপরাজিতা ফুলের চাষ সাধারণত খুবই কম দেখা যায়। হাতে গোনা দু একজন ছাড়া তেমন কাউকে এই চাষ করতে তেমন দেখা যায় না।
গ্রীষ্মের সময় ফুলের পরিমাণ বেড়ে যায় আর তাতেই কয়েক হাজার টাকার ফুল বিক্রি হয় প্রতিদিন। কিন্তু শীত পড়তেই ফুলের পরিমাণ কমে যায় বলে জানায় অপরাজিতা চাষী। ছোট থেকে চারা রোপণ করে ধীরে ধীরে তাকে বিভিন্ন রাসায়নিক সার জৈব সার জল দিয়ে বড় করে তোলা হয়। তার দু-তিন মাস পরেই ফুল ধারণ করে অপরাজিতা গাছে। সেই ফুল তুলে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ফুল বাজারে। তাতেই লাভের মুখ দেখতে পায় অপরাজিতা ফুল চাষী গনেশ জানা।
কথিত আছে অপরাজিতা ফুলের থেকে এক ধরনের চা উৎপাদন হয়। সেই চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালিকে শিথিল করতে সাহায্য করে। যা রক্তচাপ কমিয়ে হৃৎপিণ্ডের ওপর চাপ কমায়। ফলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও কমে যায়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় অপরাজিতা ফুল নুট্রপিক এমন একটি পদার্থ থাকে যা স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি আয়ুর্বেদিক ঔষধের কাজেও অপরাজিতা ব্যবহার করা হয় বলে জানা যায়। সেই অপরাজিতাই এবার চাষ করতে দেখা গেল এক চাষীকে। সেই অপরিচিত চাষেই লাভের মুখ দেখতে পায় এই চাষী।