কাঁথির ধর্মদাসবাড়ে গোডাউনে হানা দিয়ে বিপুল পরিমানে শব্দ বাজী উদ্ধার। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান উদ্ধার হওয়া এই বাজীর বাজার মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা!

0
7

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- অবৈধ বাজীর অভিযানে নেমেই বড়সড় সাফল্য পুলিশের। বুধবার রাতভর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে শব্দবাজি সহ এক জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। জানা গেছে ধৃত যুবকের নাম কমল মাইতি। বাড়ী কাঁথি থানায় ধর্মদাসবাড় এলাকায়। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন নাকচ করে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাঁথি থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( গ্রামীণ ) শুভেন্দ্র কুমার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কাঁথি মহাকুমা পুলিশ আধিকারীক দিবাকর দাস, কাঁথি থানার আইসি প্রদীপ কুমার দান ও কাঁথি টাউন অফিসার প্রণব বেরা সহ অন্যান্য পুলিশের আধিকারিকেরা। উদ্ধার হওয়া বাজী’র ওজন ২১০০ কেজি। যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা বলে জানাগেছে। অভিয়ুক্ত’কে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। কোথা থেকে বাজিগুলি নিয়ে আসা হয়ে ছিল? গোডাউনে মজুত রেখে অন্য কোথাও পাচারে পরিকল্পনা ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে?

পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁথি শহরের বিস্তীর্ণ এলাকাতে প্রস্তুত করা বাজী বিক্রি করতো ধর্মদাস বাড়ে বাসিন্দা কমল মাইতি। দোকানের পাশে অস্থায়ী গুমটি করে চড়া দামে বাজি বিক্রি করতো বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় কাঁথি শহরে কুমারপুরে অমর্ত্য পল্লী উল্টো পাশে একটি গোডাউন ভাড়া নিয়ে বিপুল পরিমাণের বাজি মজুদ করে রেখেছিল। বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই গোডাউনে অভিযান চালান-কাঁথি মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস, কাঁথি থানার আইসি প্রদীপ কুমার দান ও কাঁথি থানার টাউন অফিসার প্রণব বেরা। গোডাউনে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় মজুত রাখা বস্তার পর বস্তা বাজি। একটি ছোট লরিতে করে গোডাউন থেকে বাজি ও বারুদ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এর পাশাপাশি এক জনকে গ্রেফতার করে। কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( গ্রামীণ ) শুভেন্দ্র কুমার বলেন ” গোটা ঘটনার তদন্তে জন্য অভিয়ুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার আরও কেউ য়ুক্ত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখানে কোন কারাখানা ছিল না, শুধু মাএ গোডাউনে পেয়েছি “।