দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সংখ্যালঘুদের উপর ঘটে চলা নির্যাতন ও নিপীড়নের ঘটনার প্রভাব সেই সঙ্গে সীমান্তের ওপারের অশান্তির আচ এপারের হিলিতে কতটা পড়ছে? । কি বলছেন হিলির মানুষজন। হিলিতে রয়েছে রপ্তানি বাণিজ্যর স্থলবন্দর ও আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট। বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসাবাণিজ্যর বর্তমান অবস্থা কি রকম? চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষজনই বা কি বলছেন? পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর। যেটি তিন দিকেই বাংলাদেশ সীমান্তে ঘেরা। ২৫৩ কিমি দীর্ঘ সীমান্তে হিলি সহ একটা বড় অংশ কাঁটাতারের বেড়াহীন। বর্তমান পরিস্থিতিতে কতটা আতঙ্কিত কাঁটাতারহীন সীমান্ত এলাকার মানুষজন?
১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে হিলি ও বালুরঘাটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বালুরঘাটে সেনাছাউনি গড়ে শত্রু নিধনে হিলি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিল ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানকে পরাস্ত করতে হিলি ব্যাটেলই হয়েছিল রক্তক্ষয়ী বড় যুদ্ধ। যে যুদ্ধে দশ হাজারেরও বেশি পাক সেনার মৃত্যু ঘটেছিলো। পাশাপাশি বাংলাদেশকে স্বাধীনতা দিতে শহীদ হয়েছিলেন চারশোরও বেশি ভারতীয় সৈনিক। যাঁদের হিলি হাইস্কুল মাঠে সম্মানের সাথে গণদাহ করা হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতীয় সেনার আত্মত্যাগ স্মরণীয় করে রাখতে হিলি হাইস্কুল মাঠে গড়ে তোলা ৭১’এর স্মারক আজও জানান দেয় যে সেদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা কি ছিল।
প্রতিদিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গড়ে ২০০ টি পণ্য বোঝাই লরি যাতায়াত করে থাকে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে বৈধ ভিসায় দৈনিক ৪০০রও বেশি নাগরিক যাতায়াত করতেন। কিন্তু ওপারের অশান্ত পরিস্থিতিতে তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে এপারে কিছুটা প্রভাব পড়লেও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশই বলে স্থানীয়দের অভিমত।