নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা— এক লটারিতেই রাতারাতি ভাগ্য বদল। ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক,হয়ে গেলেন কোটিপতি।
গল্প হলেও সত্যি! সদ্য কোটিপতি হওয়া যুবকের নাম মুন্না আলি (৩০)। তার বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের মারাডাঙ্গি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভবানীপুর ব্রীজ মোড়ে টিকিট বিক্রেতা ইসারুল হকের কাছ থেকে ১৫০ টাকা দিয়ে ২৫ সেম ডিয়ার লটারি টিকিট
কাটেন মুন্না। সন্ধ্যায় ফলাফল আসার পর টিকিটের নম্বর মিলিয়ে দেখেন যে, তিনি এক কোটি টাকা জিতেছেন। এর পরই আনন্দে আত্মহারা মুন্না-সহ পরিবারের সদস্যরা। তবে লটারিতে এত টাকা জেতার পর নিরাপত্তার অভাব বুঝে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশকে খবর দেন তিনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুন্নাকে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বয়স্ক বাবা,স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে মুন্নার সংসার। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের একমাত্র রোজগেরে তিনিই। ১৪ বছর ধরে দিল্লিতে প্লাস্টিকের কাজ করেন। অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে মাঝেমধ্যেই লটারির টিকিট কাটেন তিনি। আর সেই মতোই এদিন তিনি লটারির টিকিট কেটেছিলেন। আর তাতেই তিনি রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন। মুন্না বলেন, লটারি টিকিট কেটে রাতারাতি কোটি টাকা জিতব আশা করিনি। এই টাকা দিয়ে সুন্দর একটা বাড়ি তৈরি করার ইচ্ছা রয়েছে। এবং কিছু জমি কিনব। পাশাপাশি ছেলের পড়াশোনার জন্য টাকা জমিয়ে রাখব।
Leave a Reply