বিজেপি পরিচালিত মালদার হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:-বিজেপি পরিচালিত মালদার হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ। সোলার লাইট প্রকল্পে ব্যাপক স্বজনপোষণ। অনলাইন এর পরিবর্তে অফলাইন টেন্ডার। টেন্ডার বাতিলের দাবিতে সরব তৃণমূল। তদন্তের নির্দেশ জেলা প্রশাসনের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।

মালদায় বিজেপি পরিচালিত একমাত্র পঞ্চায়েত সমিতি হবিবপুর। এখানকার বিধানসভা এমনকি লোকসভা আসনও বিজেপির দখলে। গোটা রাজ্যে তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে যখন সরব বিজেপি তখন মালদায় বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতিতে টেন্ডার দুর্নীতি। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় ২৫ লক্ষ টাকা খরচে ২৮ টি সোলার লাইট বসানোর কাজের টেন্ডার করা হয় গত ২৯ শে জানুয়ারি। সরকারি যেকোনও কাজের অর্থমূল্য এক লক্ষ টাকার বেশি হলে ই-টেন্ডার বা অনলাইন টেন্ডার করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু, এক্ষেত্রে সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অফলাইন টেন্ডার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিরোধীদের সমিতি এলাকায় কোনও কাজের বরাত দেওয়া হয়নি। ৩১ আসনের পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির ১৬, তৃণমূলের ১৩, সিপিএমের দুই এবং কংগ্রেসের একজন সদস্য রয়েছেন। কিন্তু অভিযোগ ২৮ টি সোলার লাইট প্রকল্পের সবই নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন বিজেপি সদস্যরা। নিজেদের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারি সংস্থাকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে কাজ। এরপরেই ব্লক প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে টেন্ডার বাতিলের দাবি করেছে তৃণমূল।
টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক,বিরোধী চাপানউতোর। দুর্নীতিতে যুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছে তৃণমূল। যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি, টেন্ডার প্রক্রিয়া করেছেন বিডিও। যিনি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন আধিকারিক। এখানে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ভূমিকা নেই। আসলে ভুয়ো অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত সমিতিকে বিকল করার চেষ্টা হচ্ছে বলে পাল্টা দাবি করেছে বিজেপি।
এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জানাগিয়েছে, হবিবপুরের বিডিও এবং জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিককে ঘটনা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *