ময়নাগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ১০ ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ঘটনাটি ঘটে ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগ্রাবাড়ি 2 নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বসাক পাড়া এলাকায়। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, আমাদের এই এলাকায় একটি সরকারি বর্জ্য পদার্থের পাইলট প্রোজেক্ট নির্মাণ হয়, কিন্তু সেটা আমরা জানতাম না, যখন এটা হয় আমাদের জানানো হয়েছে অন্য কিছু হবে কিন্তু পরে দেখছি এটা বর্জ্য পদার্থের একটি ফ্যাক্টরি, সারা শহরের নোংরা বর্জ্য পদার্থ এখানে এনে জমা করছে ও পরে সেগুলো দিয়ে জৈব সার বানানো হচ্ছে, আমরা সারা এলাকার মানুষ দুর্গন্ধে থাকতে পারছি না, দিনের পর দিন গন্ধ বাড়তেই চলেছে। ঝাঁঝালো গন্ধে সকলেই হয়ে পড়ছি অসুস্থ, বাচ্চারা ঠিকমতো খেতে পারছে না, জ্বর সর্দি লেগেই আছে, দিনের বেলাতেও মশারি টাঙিয়ে খেতে হয় ভাত। মশা মাছির এতটাই উপদ্রব এই এলাকায়, বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এই জায়গা, এই এলাকার সাব সেন্টারে বাচ্চারা খেতে পারে না দুর্গন্ধের জন্য সাব সেন্টারে যেতেও পারে না কেউ । কখনোই করা হয় না পরিষ্কার।আজ মন্ত্রী আসবে বলে গতকাল থেকেই চলছে পরিষ্কার করার কাজ এমন টাই অভিযোগ করছেন এলাকাবাসীরা। এদিন এলাকাবাসীরা জানতে পারেন ময়নাগুড়ি রবিতীর্থ ভবনে সভা করার পরে পাইলট প্রোজেক্ট পরিদর্শনে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ কুমার মজুমদার ও ব্লুচিক বড়াই আসছেন বলে,
তাই তারা সকলে একত্রিত হয়ে এদিন বিক্ষোভ শুরু করেন এবং মন্ত্রীর গাড়ি আসলেই গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাবেন, মন্ত্রীকে অভিযোগ জানাবেন, এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এলাকাবাসীরা।সেই সময় আমাদের প্রতিনিধি এলাকাবাসীদের সমস্যার কথা জানতে চাইলে ওই এলাকার প্রধান বাবলু রায় প্রথমে আমাদের প্রতিনিধিকে এই খবর করতে বারণ করেন। প্রশ্ন এখানেই ? প্রধান কেন এই খবর করতে বারণ করছে আমদের প্রতিনিধিকে? এরপরেও আমাদের প্রতিনিধি এলাকাবাসীদের সমস্ত বক্তব্য ক্যামেরাবন্দি করলে প্রধান বাবলু রায় হয়ে যায় ক্ষিপ্ত । এলাকাবাসীদের দিতে শুরু করে হুমকি। যারা যারা বিক্ষোভ দেখাবে, মন্ত্রীকে অভিযোগ জানাবে তাদের পরে দেখে নেব, এই বলে হুমকি দেন খাগড়াবাড়ি 2 নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রধান, বাবলু রায়। প্রধানের এ মত আচরণ ও হুমকিতে এলাকাবাসীরা বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন।
প্রশ্ন থেকেই যায় একটাই? কি হবে এই এলাকাবাসীদের? সরকারি এই প্রোজেক্টর জন্য
অবশেষে কি গ্রাম ছাড়তে হবে গ্রামবাসীদের ?
প্রধান এর হুমকি, গ্রামবাসীর উপর চড়াও এলাকার প্রধান।

Leave a Reply