গোপালগঞ্জের ধাদলপাড়ায় দেবী বিদ্ধেশ্বরী (অম্বিকা) শক্তিপীঠে ভৈরব বাবা রামেশ্বরের (অমৃতাক্ষ) নীল পুজো ও পঞ্চমুণ্ডির আসনে হোমযোজ্ঞ।

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা :- প্রতিবছরের মতো এবছরও ১৩ই এপ্রিল রবিবার নীল পুজোর পুণ্য তিথিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের গোপালগঞ্জের ধাদলপাড়াতে দেবী বিদ্ধেশ্বরী (অম্বিকা) শক্তিপীঠে ভৈরব বাবা রামেশ্বরের (অমৃতাক্ষ) নীল পুজো ও পঞ্চমুণ্ডির আসনে হোমযোজ্ঞ উপলক্ষ্যে ভক্তদের ঢল নামে। আগামীকাল ১৪ই এপ্রিল সোমবার চৈত্র সংক্রান্তিতে দেবী বিদ্ধেশ্বরী (অম্বিকা) শক্তিপীঠে চরক পুজোর জোড় কদমে প্রস্তুতি চলছে। দেবী বিদ্ধেশ্বরী (অম্বিকা) শক্তিপীঠের ট্রাস্টের সম্পাদক বিপ্লব মন্ডল জানিয়েছেন – প্রতিবছরের মতো এবছরও আজ নীল পুজো উপলক্ষ্যে ভৈরব বাবা রামেশ্বরের (অমৃতাক্ষ) নীল পুজো ও পঞ্চমুণ্ডি আসনে হোমযোজ্ঞ হচ্ছে। পাশাপাশি আগামীকাল দেবী বিদ্ধেশ্বরী (অম্বিকা) শক্তিপীঠে চরক পুজোর আয়োজন করা হবে। দেবী বিদ্ধেশ্বরীর এই পুণ্য ভূমি খনন করে কষ্ঠীপাথরের প্রাচীন অলৌকিক দেবত্ব নিদর্শনের পাশাপাশি মাতা বিদ্ধেশ্বরীর ব্রহ্ম শিলা ও কয়েকটি প্রাচীন শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। যা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে ভক্তি ও নিষ্ঠা সহকারে পুজো করা হচ্ছে। স্থানীয় এলাকার মানুষজনের বিশ্বাস – দেবী বিদ্ধেশ্বরী (অম্বিকা) তার ভক্তদের কৃপা করে এই শক্তিপীঠে আবির্ভূত হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে দেবী বিদ্ধেশ্বরী (অম্বিকা) শক্তিপীঠের ট্রাস্টের বিপ্লব মন্ডল জানিয়েছেন – বাংলার ধর্মীয় ইতিহাসের পাশাপাশি দেবীর সতী পীঠের ইতিহাসে ৫১ পীঠের অস্তিত্ব এখনো অজ্ঞাত রয়েছে। তবে ভক্তদের বিশ্বাস এই ৫১ পীঠটি সম্ভবত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের আত্রেয়ী নদীর পূর্ব পাড়েই গোপালগঞ্জের ধাদলপাড়াতেই অবস্থিত, কারণ এই আত্রেয়ী নদীর পূর্ব পাড়ের পুণ্য ভূমিতে দেবী বিদ্ধেশ্বরী (অম্বিকা) শক্তিপীঠে দেবী বিদ্ধেশ্বরীর পাশাপাশি ভৈরব বাবা রামেশ্বর (অমৃতাক্ষ) বিরাজ করছেন। একটি শক্তিপীঠ ও সতীপীঠে একটি পুণ্যতোয়া নদীর পাশে মায়ের স্থান ও ভৈরবের অবস্থান সহ যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন সবকিছুই এই ধাদলপাড়ার দেবী বিদ্ধেশ্বরী (অম্বিকা) ধামে পাওয়া যায়। কয়েক হাজার বছরের প্রাচীন এই দেবী বিদ্ধেশ্বরী (অম্বিকা) ধামে প্রতিবছর মাঘী পূর্ণিমার পুণ্য তিথিতে বাৎসরিক মহাপুজোতে সপ্তসতী যজ্ঞ এবং চৈত্র মাসে ভৈরব বাবা রামেশ্বরের (অমৃতাক্ষ) নীল পুজো ও চৈত্র সংক্রান্তিতে চরক পুজোর পাশাপাশি প্রতিদিন নিত্য পুজো ও বুধবার অন্নভোগ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *