জলদাপাড়ার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে জঙ্গল সংলগ্ন একটি মুদির দোকানের হানা দিল একটি বুনো দাঁতাল হাতি।

জলদাপাড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- রোজ রোজ ভুট্টা, লাউ, বিভিন্ন সবজি খেয়ে খেয়ে বোর হয়ে গিয়িছি।প্রতিদিন একই খালি সবজি আর ভালো লাগেনা।আজ ইচ্ছে হয়ে ছিল একটু মুড়ি আর চাল খেতে।তাই আজ ভোর ৫ টা নাগাত জলদাপাড়ার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে জঙ্গল সংলগ্ন একটি মুদির দোকানের হানা দিল একটি বুনো দাঁতাল হাতি। তবে আজ আর ঘরে দাঁড়িয়ে থেকে খাওয়ার সময় ছিলনা।কারণ পূব আকাশে সূর্য মামা দেখা দেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে।আর পূব আকাশে সূর্যের আগমন মানে তার দু -পায়ি ভাগ্নেদের জাগার সময় হয়ে গিয়েছে। তারা যদি জেগে যায় তবে না তো শান্তিতে খাওয়া যাবে? না তো সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া যাবে। তাই আজ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল যে না আজ আর দোকানে দাঁড়িয়ে বেশি খাওয়া যাবে না। কয়েক কেজি মুড়ি, এবং কিছু চাল খেয়ে আর এক বস্তা চাল শুরে পেচিয়ে সোজা জঙ্গলে চলে গেল জঙ্গলের দাতাল গজরাজ। আজ সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ জলদাপাড়া অভয়ারণ্য সংলগ্ন খাউচাঁদপাড়া গ্রামে স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী মুকুল দাসের দোকানের কাঠের বেড়া ভেঙে কয়েক কেজি মুড়ি এবং চাল খেয়ে এবং এক বস্তা চাল সুরে পেচিয়ে সোজা জঙ্গলে চলে গেল একটি বুনো হাতি। ফালাকাটা ব্লকের শাললকুমার গ্রাম পঞ্চায়েতর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে প্রতিনিয়ত বুনো হাতির দাপট। হাতির দল জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে কৃষকের ফসলের
ক্ষয়ক্ষতি করে থাকে। যার জেরে অতিষ্ঠ জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা।হাতির ভয়ে ফসল বাঁচাতে মানুষকে রাত জাগতে পর্যন্ত হয়। তবে হ্যাঁ বুনো হাতির গ্রামে প্রবেশ আটকাতে এবং প্রবেশ করলে তাদের দ্রুত জঙ্গলে ফেরাতে সদা তৎপর থাকে বনদপ্তরও। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার আবেদন করলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন,এবং আমাদের বন কর্মীরা সেই এলাকায় তৎপরতার সঙ্গে টহলদারি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *