পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে এক যুবক এমন ঘটনাই এগিয়ে আসেনি কেউ।

0
232

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ-পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে এক যুবক এমন ঘটনাই এগিয়ে আসেনি কেউ। টাকার অভাবে ভারসাম্যহীন ছেলের চিকিৎসা করাতে ব্যর্থ।বহুদিন ধরে চিকিৎসা করানোর জন্য গেলেও টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি ভারসাম্যহীন ছেলের।মালদহের পুরাতন মালদা ব্লকের মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বারুইপাড়া এলাকায় বরুন রাম নামে এক যুবক জন্ম থেকেই হালকা ভারসাম্যহীন ছিল বয়স বারতেই ভারসাম্যহীন এর পরিমাণ বাড়তে থাকে।দীর্ঘ ২৮বছর বয়স হলেও মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে রয়েছে বরুন রাম। বাবা বৃদ্ধ শিবশঙ্কর রাম পেশায় দিন মুজুর কাজ করে সংসার চালান।

বরুন রামের দিদি জুলি রাম জানান আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় সেভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি মানসিক ভারসাম্যহীন ভাইয়ের । বরুন যত বড় হছে তার মানসিক ভারসাম্যহীনতা দিন দিন বেড়েই চলেছিল।সংসারে চরম অভাব, তাই বাবা ভাই কোথাও চলে না যায় চিকিৎসা না করাতে পেরে বাধ্য হয়ে শিকল দিয়ে তালা দিয়ে রাখে।বরুনের দিদির অভিযোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানসহ বিভিন্ন জায়গায় জানানোর পরেও চিকিৎসার কোন সাহায্য তো দুরে থাক দেখা পাওয়া যায়নি কোন প্রশাসনিক আধিকারিক বা জন-প্রতিনিধির।এখন এক মাত্র ভরসা প্রশাসন তাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ছেলেকে শিকল বন্দীর হাত থেকে বাঁচাতে।

এবিষয়ে এলাকাবাসী নিতাই চন্দ্র সরকার বলেন, এই ভাবে পায়ে শিকল বেঁধে দিয়ে বরুন রাম নামে২৮ বছরের এক যুবক অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে টাকার অভাবে ওই পরিবারের লোক চিকিৎসা করাতে যেতে পারছেন না। বহুবার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মেম্বার সহ বিভিন্ন জায়গাতে জানানোর পরেও কোন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি এইভাবে পায়ে শিকল নিয়ে জীবন কাটাচ্ছে এক যুবক খুব দুঃখজনক ঘটনা তার ছেলেকে ছাড়ার কথা বললে তিনি বলেন তাঁর বাবা বলেন যদি ছেড়ে দেই হারিয়ে গেলে কোথায় পাবো আমার এই একমাত্র ছেলেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে তার বাবা।