রাজ্যের সেরা রেশম সুতো উৎপাদক হিসাবে পুরস্কার পেতে চলেছেন কালিয়াচকের মহম্মদ আনসারুল শেখ৷

0
252

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: জেলার রেশম শিল্পের মুকুটে নতুন পালক৷ রাজ্যের সেরা রেশম সুতো উৎপাদক হিসাবে পুরস্কার পেতে চলেছেন কালিয়াচকের মহম্মদ আনসারুল শেখ৷ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে তাঁকে পুরস্কৃত করা হবে৷ এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই জেলার রেশমচাষি থেকে শুরু করে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সবার মনে খুশির আমেজ৷ ভবিষ্যতে আরও উন্নতমানের রেশম সুতো তৈরি করতে চান আনসারুল সাহেব৷ তার জন্য তিনি সরকারের কাছে আরও কিছু সহযোগিতা প্রার্থনা করছেন কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের শেরশাহী গ্রামের বোসনিটোলার বাসিন্দা আনসারুল সাহেব৷ তিনি জানান, “এটা আমাদের পৈতৃক ব্যবসা৷ ১৯৯১ সাল থেকে রেশম সুতো তৈরির কাজ করছি৷ প্রথমে প্রথাগত মেশিনেই রেশম কাটাই করে সুতো তৈরি করতাম৷ পরবর্তীতে রেশম দফতরের সহযোগিতায় ভালো মানের সুতো তৈরি করতে শুরু করি৷ সেই সুতো রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করি৷ আগে চাহিদা অনুযায়ী সুতো তৈরি করতে পারতাম না৷ এখন পাঁচ কর্মী থাকলেও চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জোগান দিতে পারি না৷ এখনও চিনা রেশম সুতোর সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছি না৷ তবে বেঙ্গালুরুর রেশম সুতোর সঙ্গে আমার সুতো তুলনা করা যায়৷ এখনও পর্যন্ত সরকারি স্তরে বিভিন্ন সহায়তা পেয়েছি৷ কিন্তু আরও উন্নত সুতো তৈরির জন্য সরকারের কাছে অতিরিক্ত সহযোগিতার আবেদন জানাচ্ছি৷ আজই আমার কাছে রেশম দপ্তরের একটি চিঠি এসেছে৷ ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যের সেরা রেশম সুতো উৎপাদক হিসাবে আমি মনোনীত হয়েছি৷ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে আমাকে পুরস্কৃত করা হবে৷ এই পুরস্কার পেয়ে আমি খুব খুশি৷”
গোটা রাজ্যের মধ্যে মালদাতেই সবচেয়ে বেশি রেশম সুতো তৈরি হয়৷ কালিয়াচক এই সুতো তৈরির হাব হিসাবে পরিচিত৷ দু’দশক আগেও এখানে রেশম সুতো উৎপাদনের উন্নত পরিকাঠামো ছিল না৷ সেই সময় এদিকে নজর দেন জেলা রেশম দফতরের তৎকালীন ডেপুটি ডিরেক্টর সুব্রত দাস ও কালিয়াচক রেশম দফতরের আধিকারিক প্রিয়জিৎ অধিকারী৷ সুতো উৎপাদকদের পাশে দাঁড়ায় রাজ্য সরকারও৷ সরকারের তরফে রেশম কাটাই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনকে উন্নত মেশিন এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়৷ তারই ফল মিলছে এখন৷ এই এলাকার উৎপাদিত রেশম সুতোর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে৷ আনসারুল সাহেবের পুরস্কার প্রাপ্তি জেলার রেশমচাষি, সুতো উৎপাদক সহ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাইকেই উৎসাহিত করবে বলে আশা করছে প্রশাসন৷