কলকাতার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গা পুজো। শুধু ঐতিহ্য আর ইতিহাস নয় এই শোভাবাজারের দেববাড়ির মাতৃমূর্তির বিশেষ বৈশিষ্ট্য এবং পুজোর উপাচারও বেশ চমকপ্রদ। আর এর জন্য কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজোতে অন্যন্য স্থান অধিকার করে নিয়েছে শোভাবাজার রাজবাড়ি। বোধন থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত প্রতিদিন ব্রাহ্মণরা চণ্ডীপাঠ করেন। নবমী পর্যন্ত প্রতিদিনই চণ্ডীর আরতি হয়। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এই তিনদিনে সাত দফায় বলি দেওয়া হয়। একসময় পশুবলি চললেও, এখন তা বন্ধ। প্রথা হিসেবে, কুমড়ো, আখ, মাগুর মাছ বলি দেওয়া হয়।এককালে কামানের তোপ দেগে শুরু হত শোভাবাজার রাজবাড়ির সন্ধিপুজো। সমাপ্তিও হত কামানের গোলার শব্দে। এখন আর সেই রামও নেই, সেই রাজত্বও নেই। কিন্তু চিরাচরিত প্রথার অন্যথা ঘটে কী করে! তাই অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে এখনও চিরাচরিত প্রথা মেনে বন্দুকের গুলির শব্দ করা হয়৷শোভাবাজার রাজবাড়ির রীতি অনুযায়ী দশমীর দিন সকালেই বিজয়া হয়৷ বিষাদের সুর বেজে ওঠে সানাইয়ে৷ বিকেলে শোভাযাত্রা করে গঙ্গায় প্রতিমা নিরঞ্জন।
।। সংগৃহীত : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।