কঙ্কাবতীর দুঃসাহস (ধারাবাহিক উপন্যাস, দ্বাদশ পর্ব) : দিলীপ রায় (+৯১ ৯৪৩৩৪৬২৮৫৪)।

0
296
  বিপাশার বিয়ে হওয়ায় বাড়িতে শান্তির বাতাবরণ । 
  কঙ্কাবতী আর গাঁয়ে সব্জি বিক্রি করতে যাচ্ছে না । মিঁয়া স্টেশন লাগোয়া ফাঁকা জায়গায় অন্যান্য অস্থায়ী দোকানদারদের মতো  মাথার উপরে তাবু টাঙিয়ে ডালা সাজিয়ে সব্জি বেচাকেনা করছে । বেচাকেনা ভালই । খরিদ্দারের আনাগোনা  সকালের দিকে বেশী । খরিদ্দারেরা বেশীর ভাগ গাঁয়ে গঞ্জের মানুষ । তাঁদের টাটকা সব্জি পছন্দ । তাই তাঁরা  টাটকা সব্জি খোঁজ করেন । সেইজন্য কঙ্কাবতী খুব ভোরের ট্রেনে কাটোয়া ছোটে । কাটোয়া একটা বড় রেল জংশন ।  কাটোয়ায় টাটকা সব্জির ভাল মার্কেট । দামও ন্যায্য । কয়েকটা জেলার সংযোগস্থল হচ্ছে কাটোয়া শহর । বিভিন্ন দিক থেকে সব্জি নিয়ে পাইকারি বিক্রেতারা কাটোয়া ভিড় করে । প্রয়োজনীয় সব্জি কিনে পরের ট্রেনে ফেরে । মিঁয়া নেমে বাজারে ঢুকতে ঢুকতেই শুরু হয়ে যায় তার বেচাকেনা । খরিদ্দাদের কঙ্কাবতীর সব্জির প্রতি ঝোঁক ! কেননা তার কাছে টাটকা সব্জি যেমন উচ্ছে (গাঁয়ের মানুষ সাধারণত করলা বলে), পটল, বেগুন,  কুমড়ো, ঝিঙে, কাঁচা কলা, পেঁপে, ঢেঁড়শ, কাঁচা লঙ্কা, গাজর, বটবটি, ইত্যাদি । ঋতু অনুযায়ী সব্জির প্রকারভেদ রয়েছে । শীতকালের সব্জি অন্যরকম । তা ছাড়া কঙ্কাবতীর ব্যবহার সকল খরিদ্দারের কাছে প্রশংসনীয় । 
     সকালে কাজের চাপ বেশী থাকায়  অনিন্দ এসে হাত লাগায় । স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করতে পেরে তার আনন্দ । সারাদিন বাড়িতে বসে থাকতে তার আর  ভাল লাগে না । কিন্তু শারীরিক পরিস্থিতির জন্য অনিন্দ ইচ্ছা থাকলেও অনেক কাজে যোগ দিইয়ে  পারে না । অনীশার কাজে অনিন্দের খুব ইচ্ছা, সহযোগিতা করার । কিন্তু শারীরিক কারণে অনীশার দোকানে বসতে পারে না । 
    কঙ্কাবতীর এখন অনীশাকে নিয়ে চিন্তা ! মনীষার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে অনীশার মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করছে কঙ্কাবতী । তার সাজগোজ বেড়েছে । ইদানীং ছেলেদের সাথে খুব মিশছে । দোকানে সেইভাবে ধ্যান দিচ্ছে না । চারিদিকে প্রাচীর তুলে তার চায়ের দোকানটা ঘেরাও করেছে ঠিকই, কিন্তু দোকান ঘরটি এখনও পুরোপুরি বানানো হয়নি । পাঁচ ইঞ্চির ইটের গাঁথনি তুলে ছাদ করতে পারেনি । যার জন্য কর্কেট টিনের চালা বানিয়েছে । দোকানটা এখন খুব ভাল চলছে । অনীশা দোকানে চা ছাড়াও রুটি তরকারি রাখছে । মিঁয়া স্টেশনের অনেক মানুষ এমনকি ব্যবসায়ীরাও তার দোকানে রুটি তরকারি খেয়ে প্রতিদিন টিফিন সারে । তাঁরা অনীশাকে হোটেল খোলার পরামর্শ দিয়েছেন । অনীশার খুব ইচ্ছা ভাতের হোটেল খোলার । কঙ্কাবতীর সাথে এই নিয়ে কয়েকবার আলোচনা করেছে । কঙ্কাবতী আর কিছুদিন সময় নিতে পরামর্শ দিয়েছে । তবে কঙ্কাবতী এটাও উল্লেখ করে বলেছে, ভবিষ্যতে মিঁয়া স্টেশনে ভাল হোটেল চলবে । কেননা প্রচুর মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করছেন । কঙ্কাবতী লক্ষ করেছে, ট্রেন থেকে নেমে অনেক প্যাসেঞ্জার  দুপুরের আহার সারবার জন্য ভাতের হোটেল খোঁজ করেন ।  ভাতের হোটেল খুললে আরও পুঁজির দরকার । তা ছাড়া লোক রাখার প্রশ্ন আছে । কেননা চায়ের দোকানের সাথে হোটেল চালু করলে অবধারিতভাবে অতিরিক্ত লোকের প্রয়োজন হবে । সেই কারণে কঙ্কাবতীর ইচ্ছে, মেয়েটার বিয়ে হলে ভাতের হোটেল খোলার । 
      মিঁয়া গ্রামের সনত মাস্টারের ছেলেটা ইদানীং ঘন ঘন অনীশার দোকানে যাতায়াত । চা খেতে এসে সহজে ওঠার নাম করে না ।  সনত তপাদার প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক । তাঁর তিন ছেলে । প্রমোদ মেজ ছেলে । পড়াশুনা বেশীদূর করেনি । বাড়িতে বসে থাকতে দেখে সনত মাস্টার তাকে জমিতে চাষের জন্য পাঠাতেন । কিন্তু জমি চাষেও তার মন নেই । সনত মাস্টারের বড় ছেলেটা শক্তিপুর হাসপাতালে গ্রুপ-ডি পদে চাকরি করছে । তার বিয়েও হয়ে গেছে । ছোটটার স্নাতক ডিগ্রি । কিন্তু চাকরি না পেয়ে অবশেষে ঔষধের দোকান খুলেছে । সনত মাস্টারের কয়েক মাস পর রিটায়ারমেন্ট । অবসর নেওয়ার পর সনত মাস্টার ঠিক করেছেন, পুরো সময় ছোট ছেলের ঔষধের দোকানে কাজ করবেন । নিজের পছন্দের মেয়ের সাথে ছোট ছেলেটার বিয়ে মোটামুটি ঠিক হয়ে আছে । তাই ছোট ছেলের ব্যাপারে  তাঁর দুশ্চিন্তা মেজ ছেলেকে নিয়ে । প্রমোদকে জমিতে পাঠিয়েছিলেন নিজের পায়ে দাঁড়াবার জন্যে ! কিন্তু  সনত মাস্টারের সেই প্রচেষ্টা ফলপ্রসু হয়নি । অথচ ছেলেটা ঝেড়ে কোনো কাজে আত্মনিয়োগ করছে না । টেলারিং খোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাতেও তার অনীহা । সনত মাস্টার মেজ ছেলেকে নিয়ে কিছুটা হতাশ !  
  অনীশার দোকানে প্রতিনিয়ত  যাওয়ার জন্য প্রমোদের কিছুটা  চৈতন্যোদয় হয়েছে । তার মনে প্রেম এসেছে । কিছু একটা করার চিন্তা ভাবনা  তার হৃদমাঝারে ঘুরপাক খাচ্ছে । একদিন দেখা গেছে অনীশা প্রমোদের বাইকের পেছনে । পরে শোনা গেল অনীশা এখন প্রমোদে প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে । 
    অনীশার  চায়ের দোকানটা চারিদিকে প্রাচীর দেওয়ার পর ঢালাই গাঁথনির লোহার পিলার দিয়ে পাঁচ ইঞ্চির ইটের গাঁথনী । মায়ের ইচ্ছা, অনীশা নীচে যেমন চায়ের দোকান চালাচ্ছে, চালাক এবং উপরে ঘোতন দোকান খুলুক । ঘোতনের ইচ্ছা কাপড়ের দোকান খোলার । 
    ঘোতন ও অনীশা বসে ঠিক করলো, একতলার ছাদ ঢালাই করার পর  পিলারগুলি আরও বাড়িয়ে দোতলা শেষ করার । দোতলায় পাঁচ ইঞ্চির ইটের গাঁথনিই থাকবে । তবে ঘোতনের ইচ্ছা, নীচের তলা ও উপরের তলায় একটা ঘর ও বাথ রুম ও কিচেন তৈরী রাখতে চায় । কোনো কারণে বাড়ি  ফিরে যেতে না পারলে ঐ অতিরিক্ত ঘরে অগত্যা রাত্রি যাপন ।   
  এবার বাড়ি তৈরীর টাকার চিন্তা ! ঘোতনের কাছে টাকা নেই । অনীশার জমানো কোনো টাকা নেই । যেটুকু আয় সেটুকু  দোকানের ঘর তৈরীতেই শেষ । অনীশার এতদিন  নিজের বিয়ে নিয়ে  মাথাব্যথা ছিল না । দোকানটা দাঁড় করানো নিয়ে মগ্ন ছিল । অন্যদিকে মাথা ঘামাতো না । কিন্তু সম্প্রতি সে নিজের বিয়ের ব্যাপারে একটু বেশী তৎপর হয়ে উঠেছে । নিজের বিয়ের ভাবনাটা তাকে অতিরিক্ত মাত্রায় উতলা করে তুলছে ।  তাই দোকান ঘর তোলার ঘোতনের প্রস্তাবে অনীশা রীতিমতো চিন্তিত । কীভাবে টাকার জোগাড় হবে, সেটা অনীশার মগজে ঢুকছে না । 
    অনীশা এবার স্মরণাপন্ন হল প্রমোদের কাছে ।  টাকা জোগাড়ের হিল্লের জন্য প্রমোদের পরামর্শ চাইলো অনীশা । 
    প্রমোদ অনীশাকে সামনে বসিয়ে বলল,”তোমার দোকান ভাল চলছে । তা ছাড়া জমিটা তোমাদের নামে কেনা । অর্থাৎ জমিটা তোমাদের নিজস্ব । সুতরাং সোজা রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে বাড়ি তৈরীর জন্য ঋণ চাও । আশা করি ব্যাঙ্ক তোমাদের নিরাশ করবে না ।  লোনের টাকাটা কিস্তিতে শোধ করলেই চলবে ।“
   পুনরায় অনীশার দুই হাত চেপে প্রমোদ বলল, “আমার একটা নিজস্ব ফান্ড আছে । তবে সামান্য । তোমার  এই প্রয়োজনের মুহূর্তে আমি সেটা তোমাকে দিতে চাই । তুমি কিন্তু অমৎ করতে পারবে না । এটা আমার একান্ত অনুরোধ ।“ 
    প্রমোদের কথায় অনীশা অনেকটা চাঙ্গা । মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ার আর সুযোগ রইলো না । তবে প্রমোদের দিকে তাকিয়ে অনীশা বলল, “তোমার ফান্ড কাছে রাখো । দরকার হলে অবশ্যই নেবো ।“
     ঘোতন ও মনীষাকে  নিয়ে  অনীশা রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের বাজারসৌ শাখায় সোজা হাউজিং লোনের প্রস্তাব দিলো । ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তাদের লোনের প্রস্তাব ভেবে দেখার আশ্বাস দিলেন ।  
   ঠিক তিনদিনের মাথায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজারবাবু কঙ্কাবতীর বাড়িতে হাজির । কঙ্কাবতী ম্যানেজারবাবুকে নিয়ে অনীশার দোকানে উপস্থিত । তখন দোকানে প্রমোদ বসে খবরের কাগজের পৃষ্টা উল্টাচ্ছে ।  ম্যানেজারবাবু অনীশার দোকানের পরিস্থিতি দেখে খুব খুশী । তখন দোকানে অনেক খরিদ্দারের ভিড় ছিল । সেই ব্যস্ততার মধ্যে অনীশা ম্যানেজারবাবুর সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করে যাচ্ছে । জমির দলিল দেখতে চাইলেন । সেই মুহূর্তে কঙ্কাবতী বলল, “স্যার, দলিল দেখতে চাইলে আমাকে আবার বাড়ি যেতে হবে । তার চেয়ে আপনি একটা দিন আমাদের সময় দিন, সেদিন আমরা সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপতে নিইয়ে আপনার ব্রাঞ্চে হাজির হব ।“
 এইকথা শুনে ম্যানেজারবাবু বললেন, “সেটাই ঠিক হবে । আপনারা বরং আগামী বুধবার অফিসে আসুন । আমি কতকগুলি ডকুমেন্টসের নাম লিখে দিচ্ছি । সেগুলি নিয়ে ব্রাঞ্চে আসুন ।“ 
   ম্যানেজারবাবু সঙ্গে লোনের আবেদন পত্রের ফর্ম নিয়ে এসেছিলে সেটা দিয়ে বললেন, “জমির দলিল, জায়গাটার বর্তমান ট্যাক্স পেমেন্টের রসিদ, প্রস্তাবিত  বাড়িটার প্লান এবং সেটা পঞ্চায়েত অফিস থেকে এ্যাপ্রুভ করাতে হবে, বাড়িটা তৈরীতে প্রস্তাবিত খরচের একটা হিসাব যেটাকে বলে এস্টিমেট, ইত্যাদি নিয়ে আপাতত আসুন । বাকী ডকুমেন্টস পরে আনলেই হবে ।“ 
   প্রমোদ সাথে সাথে বলল, “স্যার, এ্যাপ্রুভড প্লান পেতে দুই-একদিন দেরী হবে । কেননা প্লান বানানো ও এস্টিমেট তৈরীতে সময় লাগবে ।“
     “আপনাকে ঠিক চিনলাম না ।“  ম্যানেজারবাবুর কৌতুহলি প্রশ্ন ?
      অনীশা বলল, “ইনি প্রমোদ । আমার বন্ধু ।“
     ম্যানেজারবাবু একটুখানি হেসে  বললেন, “নমস্কার । আপনি ঠিক ধরেছেন । প্লীজ আপনি অনীশা দেবীকে ঠিকঠাক গাইড করুন ।  তাহলে তাদের পক্ষে পেপার তৈরী সহজ হবে ।“   ম্যানেজারবাবু চলে গেলেন । 
     ব্যাঙ্কের লোনের কাগজ তৈরীর ক্ষেত্রে প্রমোদ যথেষ্ট সহযোগিতা করার জন্য লোন পেতে অনেক সহজ হল । শুরু হল অনীশার দোকান ঘরটি দোতলা করার কাজকর্ম । মিঁয়া স্টেশন বাজারে  অনীশার দোকান নিয়ে এখন সর্বত্র  অলাপ-আলোচনা । ভাই-বোন মিলে যেভাবে ব্যবসার প্রস্তুতি চলছে সেটা মিঁয়াবাসী ইতিপূর্বে কখনও দেখেননি । ঢালাই পিলার তুলে দোকান ঘর । সুতরাং দোকান ঘরের নির্মাণ যথেষ্ট মজবুত  ।  
                **************************************  
     দো-তলার কাজ  শেষ হতে প্রায়  ছয়  মাস চলে গেলো ।
     কঙ্কাবতী আর দেরী করতে চাইছে না । দো-তলায় সত্বর জামা-কাপড়ের দোকান খুলতে আগ্রহী । দোকানের নির্মাণ চলাকালীন ঘোতনের বিভিন্ন জামা-কাপড়ের হাটে ঘুরে অনেক অভিজ্ঞতা । কাছাকাছি হাট যেমন নবদ্বীপের তাঁত কাপড়ের হাট, চাকদহের হাট, হাওড়ার বিখ্যাত কাপড়ের হাট । এছাড়া রানাঘাটের,  বেলডাঙ্গার, বাকুঁড়ার, বসিরহাটের, গামছা  এবং ফুলিয়ার তাঁত কাপড়ের বাজারে ঘুরে ঘোতন বুঝতে পেরেছে কাপড়ের ব্যবসা করতে গেলে কোথা থেকে কাপড়-জামা কিনে বিক্রি করলে  লাভজনক হবে ।  ঘোতন তার কাপড়ের ব্যবসার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহী । তার বিশ্বাস, সে কাপড়ের ব্যবসায় লাভের মুখ দেখতে পাবে । কঙ্কাবতীর আবার ছোট ছেলের প্রতি আস্থা বেশী । তার ধারণা, ছোট ছেলে ঠিক গুছিয়ে ব্যবসা করতে পারবে । ঘোতনের এখন কাজের প্রতি যথেষ্ট মতিগতি ।
   কঙ্কাবতী মেয়েকে ডাকলো ।  
  অনীশাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করলো, “নীচ তলাটা চা ও জল-খাবারের দোকানের সাথে ভাতের হোটেল খুললে হোটেলের জায়গার কোনো সমস্যা হবে না । খরিদ্দারদের আনাগোনার জন্য যথেষ্ট উন্মুক্ত জায়গা । রান্নার ব্যবস্থা দোকান ঘরের শেষ মাথায় করা হইয়েছে । সেখানেও কোনো সমস্যা নেই । সমস্যা একটাই, তুমি হোটেল চালাতে পারবে কিনা ?” 
  “মা, আমি আগেই বলেছি  বিয়ের পরে ভাতের হোটেল খুলবো”,  উত্তর দিলো অনীশা । 
    “বেশ তো, আমরা এবার তোর বিয়ের দিকে এগোতে চাই ।“ কথাটা বলেই কঙ্কাবতী মেয়ের দিকে তাকিয়ে রইলো উত্তর শোনার জন্য ।
     অনীশা আমতা আমতা করে কঙ্কাবতীকে বলল, “আমি প্রমোদকে ভালবাসি । আমি প্রমোদকে বিয়ে করতে চাই ।“ 
      “প্রমোদ কোনো কাজকর্ম করে না । উপায়ের নির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেই । ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিবি । পরে যেনো পস্তাতে না হয় ?”  কঙ্কাবতী মেয়েকে হুশিয়ারি করে দিলো ।
     অনীশা বলল, “আমি ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি । প্রমোদ আমার সঙ্গে ব্যবসা করবে । প্রমোদ আমার ব্যবসায় যোগ দিলে বরং আমি ভাতের হোটেল খুব ভাল চালাতে পারব ।“
     “তোর যখন প্রমোদকে বিয়ে করার প্রবল ইচ্ছা, তাহলে আমরা প্রমোদের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে তাদের বাড়ি শীঘ্র যাচ্ছি ।“  অনীশার মত পেয়ে কঙ্কাবতী শীঘ্র মেয়েকে  বিয়ে  দিতে রাজি ।
       কঙ্কাবতী অনিন্দ ও ঘোতনকে সঙ্গে নিয়ে সোজা প্রমোদদের বাড়ি । বাড়িতে প্রমোদের বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন । 

 চলবে