শালবনির বাকিবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামবাসীদের প্রতিরক্ষা দপ্তরের নোটিশ পেয়ে ঘুম উড়েছে রাতের।

0
306

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি ব্লকের ৪নং বাকিবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামবাসীদের প্রতিরক্ষা দপ্তরের নোটিশ পেয়ে ঘুম উড়েছে রাতের, জানা গিয়েছে
বাইশটি মৌজায় প্রায় চার হাজার পরিবারকে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে,পাঁচ পুরুষ ধরে বসবাস করে আসা ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের নোটিস পেয়ে ঘুম উড়েছে শালবনির বাকিবাঁধ অঞ্চলের বাইশটি মৌজার প্রায় চার হাজার পরিবারের।
এই এলাকা জুড়ে রয়েছে তিন টি আইসিডিএস কেন্দ্র,দুটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়,এর ফলে অনিশ্চিত এই সমস্থ স্কুল গুলির ভবিষ্যৎ ,যদি ও স্কুল গুলিকে প্রতিরক্ষা দপ্তরের তরফে কোন নোটিস।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পরিবার গুলির হাতে এই সংক্রান্ত নোটিশ এসে পৌঁছেছে আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্য পরিবার গুলিকে কলকাতার আলিপুরের অফিসে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই নোটিশে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে শালবনির এই বাকিবাঁধ অঞ্চলে।
বাকিবাঁধের কমলা, উপর কমলা,বড় বাগড়া, জামবনী, বীরভানপুর,পচা কুমার ঢেঙ্গাশোল প্রভৃতি এলাকায় মৌজা আনুমানিক চার হাজার পরিবারের বসতি
এলাকার এই বসবাসকারীদের এই জায়গাগুলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধিনস্ত বলে জানা গিয়েছে ,ইংরেজ আমল থেকে এই এলাকায় বায়ুসেনার বিমান ওঠানামা করত পরবর্তীকালে এই এলাকাতে গড়ে উঠেছে টেকসাল রিজার্ভ ব্যাংকের নোট মুদ্রণ কেন্দ্র, ও CRPF এর,কোবরা বাহিনীর ট্রেনিং ক্যাম্প। এরই আশপাশে প্রতিরক্ষা মন্ত্র কের এক হাজার জমিতে গড়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা দের বসবাস।
স্থানীয়দের দাবি ব্রিটিশ আমল থেকে তারা শালবনির এসব এলাকায় বসবাস করে আসছে পরিবার পরিজনদের নিয়ে। স্থানীয় বিদ্ধা কমলা দত্ত জানিয়েছেন যে এই বসত বাড়ি ছেড়ে আমরা কোথাও যাবো না, মরতে হলে এখানেই মরবো।