ইটভাটা দখলকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে আসলো তৃণমূলের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব।

0
160

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- ইটভাটা দখলকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে আসলো তৃণমূলের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব। তৃনমূল নেতার ইটভাটা জোরপূর্বক ভাবে দখলের অভিযোগ উঠল শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধ। বাধা দিতে গেলে ইটভাটার মালিক কে ধারালো অস্ত্রের কোপ সহ ইটভাটার অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী সহ তার দলবদলের বিরুদ্ধে।যদিও প্রধানের স্বামীর পাল্টা দাবি,ওরাই শ্বাসরোধ করে প্রানে মারার চেষ্টা করছিল।কাকুকে বাঁচাতে গিয়েই আমাদের উপর চড়াও হয়।
ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদহের চাঁচলের বিরস্থলীতে।

চাঁচলের ৮১ নং জাতীয় সড়কের ধারে বিরস্থলী এলাকায় রয়েছে ইটভাটা। সেই ইটভাটাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে।
অভিযোগ,শুক্রবার চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা মোক্তার হোসেন দলবল নিয়ে হামলা চালায় আনোয়ার হোসেন নামে এক ইটভাটা মালিকের উপর। অভিযোগ ওই ইটভাটা দখল করতে এসেছিল তৃণমূল নেতা মোক্তার হোসেন সহ দলবলেরা। বাধা দেওয়ায় ইটভাটার মালিক ও তার দাদাকে মারধর করা হয় এবং হাসুয়া দিয়ে কোপানো হয় ইটভাটার মালিক আনোয়ার হোসেনকে বলে অভিযোগ। এমনকি ইটভাটার অফিসে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চাঁচল থানায় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মুক্তার হোসেন সহ মোট আটজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ইটভাটার মালিক আনোয়ার হোসেন।

যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠাও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মোক্তার হোসেন। তিনি বলেন, এটা আমাদের পারিবারিক ঘটনা। এর সাথে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। অভিযোগকারীরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ আনছেন। আমরা এ নিয়ে পাল্টা চাঁচোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করছি।মোক্তার হোসেন আরোও বলেন,ইটভাটা টি আমার কাকু ইমদাদ হোসেনের।যারা ভাটা নিজেদের দাবি করছে,তারাই গন্ডোগোল করেছে।ইমদাদ কাকুকে ওরা গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে প্রানে মারার চেষ্টা করছিল।বাঁচায়ে গিয়েই তারা দলবল নিয়ে চড়াও হয়।আমার গলায় আঘাত করেছে ওরা।

যদিও এই ঘটনার সাথে দলের কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবি ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের।চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সেখ আফসার আলী বলেন, পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।এর সাথে দলের কোন সম্পর্ক নেই।
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ ছুড়েছে বিজেপি। মালদা জেলা যুব মোর্চার সহ-সভাপতি সুমিত সরকার বলেন, জমি দখলই তৃণমূলের নীতি ও আদর্শ। পারিবারিক দ্বন্দ্ব দেখিয়ে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে টিকিট নেওয়া নিয়ে ক্ষমতা প্রদর্শন করছেন এই দুই গোষ্ঠী।
দোড়গোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন।তার আগেই মালদহের চাঁচলের রাজনৈতিক মহলে পারদ চড়তে শুর করলো।শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো শুক্রবার।