পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- জগদ্ধাত্রী বা জগদ্ধাত্রী দুর্গা হিন্দু শক্তি দেবী। ইনি দেবী দুর্গার (পার্বতী) অপর রূপ। উপনিষদে তার নাম উমা হৈমবতী। বিভিন্ন তন্ত্র ও পুরাণ গ্রন্থেও তার উল্লেখ পাওয়া যায়। দুর্গাপুজোর মতো জগদ্ধাত্রী পুজো বিশেষ রীতিনীতি মেতে করা হয়। অনেক প্রাচীনতম জগদ্ধাত্রী পুজো এখনো বাংলার বিভিন্ন আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে। সেই পুজোর রীতিনীতি ও নিয়ম বিভিন্ন ধরনের। সেই রকমই এক পুজো অনুষ্ঠিত হয় বর্ধমান দু’নম্বর ব্লকের বৈকুন্ঠপুর গ্রামের ব্যানার্জি বাড়ির প্রাচীনতম জগদ্ধাত্রী পুজো। রাজ আমলে প্রতিষ্ঠিত এই পুজো প্রায় ৩০০ বছরের। এই পুজোর নিয়ম অনুযায়ী একই দিনের সপ্তমী অষ্টমী এবং নবমীর পূজা হয়। এই পুজোতে বলির প্রথা আছে। মায়ের জন্য বিশেষ অন্য কুটির ব্যবস্থা করা হয়। এই পুজোকে ঘিরে সেজে উঠে ব্যানার্জি পরিবার।কাজের সূত্রে পরিবারের সদস্যরা বাইরে থাকলেও জগদ্ধাত্রী পূজোর দিন উপস্থিত হন নিজস্ব বাড়িতে। ব্যানার্জি পরিবারের এক সদস্য জয়দেব ব্যানার্জি তিনি ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে জানালেন, আমাদের এই জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেছিলেন আমাদেরই পূর্বপুরুষ ডক্টর অন্নদাশঙ্কর মুখোপাধ্যায়। তিনি বর্ধমানের রাজার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন।তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন মায়ের সেই থেকেই শুরু হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। আমরা প্রথা মেনে প্রায় ৩০০ বছর ধরে ব্যানার্জি পরিবার এই পুজো করে আসছি। এই পুজোতে মায়ের বিশেষ ভোগের ব্যবস্থা করা হয় এবং পাশাপাশি গ্রামের সমস্ত মানুষকে এই পুজোর দিন ভোগ বিতরণ করা হয়। কাজের সূত্রে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও আমরা এই পুজোতে সবাই একসাথে মিলিত হই।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা ৩০০ বছরের বর্ধমান দু’নম্বর ব্লকের বৈকুন্ঠপুর গ্রামের ব্যানার্জি বাড়ির প্রাচীনতম জগদ্ধাত্রী পুজো।