নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন এক মহিলা। মালদার কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের। আই পি সি ৩৭৬ এবং ৪১৭ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত আরম্ভ করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। আর এরই মধ্যে সালিশি করে দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে মামলা প্রত্যাহারের বিধান বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকারের। যদিও সালিসির মধ্যে ভুল কিছু দেখছেন না তৃণমূল বিধায়ক। গ্রামে এই ধরনের সালিসি হয় বলেই দাবী তার। আর এই ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এই ভাবে কেউ আইন নিজের হাতে নিতে পারেনা প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের।
বৈষ্ণবনগরের এক মহিলা কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বীরনগর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পল্টু মন্ডলের বিরুদ্ধে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কালিয়াচক থানা ৪১৭ এবং ৩৭৬ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত আরম্ভ করেছে। কিন্তু এরই মাঝে সালিশি সভা করে পুরো বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বৈষ্ণব নগরের তৃণমূল বিধায়ক ও তার স্বামী বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। নির্যাতিতার অভিযোগ, স্বামী ভিন রাজ্যে কাজ করে, এই সুযোগে প্রধান পন্টু মন্ডল তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস করে এমনকি ধর্ষণ পর্যন্ত করে। গত তিন মাস ধরে পল্টু মন্ডল তার সাথে যোগাযোগ না রাখায় তিনি বিধায়কের কাছে যান। এরপরই বাড়িতে ডেকে টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয় বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।
এই বিষয়ে বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক চন্দনা সরকার বলেন, উভয় পক্ষই আমাদের কাছে এসেছিল। গ্রামের মানুষের উপস্থিতিতে দেড় লক্ষ টাকা প্রধানকে দিতে বলেছি সবকিছু মিটিয়ে নেওয়ার জন্য। গ্রামে এই ধরনের বিচার হয়ে থাকে বলে তিনি দাবি করেন। এমনকি নির্যাতিতার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেন বৈষ্ণনগরের তৃণমূল বিধায়ক।
আর এই ঘটনা সামনে আসতে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন,পশ্চিমবঙ্গের নারী মর্যাদা নিয়ে বড় বড় কথা বলেন তৃণমূল নেতারা। আরেকজন তৃণমূল বিধায়ক দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে সালিশি সভা করে মিটিয়ে দিচ্ছেন। এর থেকে লজ্জার কিছু আর হতে পারে না। এরপর তৃণমূল ঘোষণা করে দিক আইন আদালত কিছু থাকবে না এখানে তৃণমূলের শাসন চলবে।
এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেন , একবার কেস রেজিস্টার হলে কেউ এই ভাবে কেস তুলে নিতে পারে না। বিধায়ক নিজে এই ধরনের কাজ করতে পারেন না। কেউ যদি দোষী হয় সরকার ব্যবস্থা নেবে।
যদিও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ধর্ষণের সেই প্রধান পল্টু মন্ডলকে বারবার ফোন করা হলো তিনি ফোন ধরেননি।
Home রাজ্য উত্তর বাংলা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন এক...