এবার নলেন গুড় টিউব যাত করে পশ্চিমবঙ্গ খাদি দপ্তরের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশ তথা বিশ্ব দরবারে।

0
414

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- শীতের মরশুম চলে এসেছে। আর শীতকাল মানেই পিঠে পুলি খাওয়ার দিন। পিঠে পুলি খাওয়ার কথা মনে পড়লেই মনে পড়ে যায় নলেন গুড়ের কথা। শীতকালে ললেন গুড়ের একাধিক রকম পিঠে পুলি ও মিষ্টান্ন ব্যঞ্জন তৈরি করা হয়ে থাকে। বাংলায় খুবই প্রচলিত এই নলেন গুড়। মূলত খেজুরের রস দিয়ে এই নলেন গুড় তৈরি করা কই আছে সেই প্রাচীনকাল থেকে। তবে আগেকার দিনে যে নলেন গুড় দাদু ঠাকুরদারা খেতেন সেই উন্নত মানের গুড় এখন অনেক জায়গায় পাওয়া যায় না বলে দাবি একাংশের। পুরনো স্বাদ আবারো ফিরিয়ে আনার জন্য এবার উদ্যোগ নেয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।

নদীয়ার মাঝদিয়ায় ললেন গুড় অতি জনপ্রিয়। এখানে নিয়মিত গুড়ের হাট বসে। এই হাট থেকে নলেন গুড় রপ্তানি করা হয়, জেলা তথা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। শীতকালে ব্যাপক পরিমাণে উৎপাদন করা হয় নদীয়ার মাঝদিয়াতে। সেই কারণেই মাজদিয়া ভাজন ঘাটে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে নলেন গুড়ের ফ্যাক্টরি। এই ফ্যাক্টরিতে রয়েছে ল্যাবরেটরি, যেখান থেকে গুড় তৈরি করার পর সেই গুড় টিউব যাতে করে পশ্চিমবঙ্গ খাদি দপ্তরের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশ তথা বিশ্ব দরবারে। সম্পূর্ণ উন্নত মানের নলেন গুড় এই ল্যাবরেটরীতে প্যাকেট যাতে হচ্ছে বলে দাবি ল্যাবরেটরির গবেষকের।

এই টিউবজাত নলেন গুড় পাওয়া যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন খাদি দপ্তরের শোরুম গুলিতে, বিভিন্ন এয়ারপোর্টে এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমেও ক্রেতারা এই উজ্জাত গুড় কিনতে পারবেন বলে জানা যায়।

এই ল্যাবরেটরির ফলে উপকৃত হচ্ছেন সাধারণ খেটে খাওয়া চাষীরা। দেশ তথা বিশ্ব দরবারে টিউক যাতো হয়ে নলেন গুড় ছড়িয়ে পড়াতে প্রচুর পরিমাণে গুড় উৎপাদন করা হচ্ছে নদীয়ার মাঝদিয়ায়। যার ফলে অনেক পরিমাণে খেজুরের রস চাষীদের থেকে কিনতে হচ্ছে সরকারের। এর ফলেই আর্থিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন খেজুরের রস সংগ্রহকারী চাষীরাও। এবং এর পাশাপাশি এই নলেন গুড়ের স্বাদ পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন দেশ তথা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা।