কলকাতা, ৬ ডিসেম্বর ২০২২:- ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার কালো স্মৃতির কথা মাথায় রেখে এবং দেশব্যাপী যেভাবে আরএসএস-বিজেপি-সহ হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ঘৃণার রাজনীতি ছড়াচ্ছে, সেসবের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা ছাড়ো, সংবিধান বাঁচাও’ বা ‘নফরত ছোড়ো সংবিধান বাঁচাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে মঙ্গলবার পথে নেমেছিল বেশ কিছু গণসংগঠন ও নাগরিক সংগঠন।
এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ বিভিন্ন অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ও গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি-সহ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ হাজরায় জমায়েত হন। সেখান থেকে তাঁরা মিছিল করে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলের অভিমুখে রওনা দেন। মিছিল থেকে সাম্প্রদায়িকতা, ফ্যাসিবাদ ও এনআরসি-সিএএ’র বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। স্লোগান ওঠে দেশের সংবিধান বাঁচানো ও ঘৃণার রাজনীতিকে প্রত্যাখান করার দাবিতে।
মিছিল ধর্মতলায় পৌঁছলে সেখানে সংক্ষিপ্ত একটি সভায় বক্তব্য রাখেন গণআন্দোলনের উজ্জ্বল তারকা তথা ন্যাশনাল পিপলস অ্যালায়েন্স ফর মুভমেন্টস্ (এনএপিএম)-এর নেত্রী মেধা পাটকর। এছাড়াও বক্তব্য পেশ করেন সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, সিপিআইএমএল-লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, স্বরাজ ইন্ডিয়ার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভীক সাহা, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্র, বন্দি মুক্তি কমিটির নেতা ছোটন দাস প্রমুখ।
এদিন মেধা পাটকর তাঁর বক্তব্যে স্মরণ করিয়ে দেন, ৬ ডিসেম্বর বাবাসাহেব আম্বেদকরের প্রয়াণ দিবস। তিনি বি আর আম্বেদকরের চেতনাকে ধারণ করার আহ্বান জানান সাধারণ মানুষের কাছে। ঘৃণার রাজনীতিকে প্রতিহত করে দেশের সংবিধানের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে গণতন্ত্র রক্ষার কথাও বলেন তিনি। ফ্যাসিবাদী বিজেপির ঘৃণার রাজনীতির মোকাবিলার কর্মসূচির মধ্যেই যে জল-জমি-জঙ্গল রক্ষার লড়াই জড়িয়ে আছে, সে কথা স্মরণ করান তিনি।
আয়োজক সংগঠন – এনএপিএম, স্বরাজ অভিযান, সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন, বন্দি মুক্তি কমিটি, পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজুর সমিতি, দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরাম, ট্রান্সফার্ড এরিয়া সূর্যাপুর অর্গানাইজেশন, আদিবাসী জমি রক্ষা কমিটি, সিএলডব্লিউ, সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়ন, সহমন, আমার সোনার বাংলা, নদী বাঁচাও আন্দোলন, এআইপিএফ ও এনবিটিভি।