ফের সামনে চলে এলো মৃতদেহ বহনকারী ডোমেদের তোলাবাজির দৌরাত্ম্যর ঘটনা ।

0
323

রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, পূর্ব বর্ধমানঃ- সম্প্রতি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের মর্গে মৃতদেহ পরিবারের হাতে যথাযথভাবে ফেরত দিতে গেলে হাজার হাজার টাকা মৃতের পরিজনদের কাছ থেকে দাবি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল জেলার প্রশাসনিক মহলে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সামনে চলে এলো মৃতদেহ বহনকারী ডোমেদের তোলাবাজির দৌরাত্ম্যর ঘটনা । মর্গের ঘটনায় জেলাশাসক রিপোর্ট তলব করেছিলেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের কাছে। আর তারপরেই মেডিক্যাল কলেজের সদ্য নিযুক্ত প্রিন্সিপ্যাল ডা. কৌস্তুভ নায়েক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন বলেই জানা যায়। ফেরত করা হয় অনৈতিকভাবে মৃতের পরিজনদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা।
মর্গের বিভিন্ন জায়গায় জরুরি ফোন নম্বর সহ লাগিয়ে দেওয়া হয় সতর্কীকরণ বোর্ড। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির তেমন কোন পরিবর্তন ঘটেনি বলেই অভিযোগ। আবার বুধবার ফের নতুন করে হাসপাতাল চত্বরেই একাধিক মৃতের পরিজনদের কাছ থেকে তোলাবাজির অভিযোগ জমা পড়ায় রীতিমতো শোরগোল।

অভিযোগ, অভিযোগ সোমবার বার্ধক্য জনিত অসুস্থতার কারণে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বাজে প্রতাপপুরে ভাড়ায় থাকা মুর্শিদাবাদ এর জিয়াগঞ্জের বাসিন্দা শ্যামল কুমার চৌধুরীকে।
পরে তার মৃত্যু হয়। সেই মৃতদেহ মায়নাতদন্ত করার পরে দেহ তুলে দেওয়ার জন্য কর্মচারীরা এক হাজার টাকার দাবি করে মৃত পরিবারের কাছে।
এক রকম কাকুতি মিনতির পর ৫০০ টাকায় মেনে যান মর্গের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা, পরে ডোমেদের খাওয়া দাওয়া বাবদ আরও ৫০০ টাকা দাবি করা হয়। তাদের দাবি মত টাকা দিয়ে মৃতদেহ নিয়ে যান শোকার্ত ওই মৃতের পরিবারের লোকজন
এমনটাই জানিয়েছেন মৃত শ্যামল কুমার চৌধুরীর পুত্র সৌমেন চৌধুরী ।

একই অভিযোগ পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার কলানবগ্রামের দিলীপকুমার চক্রবর্তীর স্ত্রী রচনা চক্রবর্তীরও। গত ২৫ নভেম্বর নিজের জমির নাড়া পোড়াতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে মারা যান দিলীপ চক্রবর্তী । মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে মর্গে নিয়ে যেতে ভ্যানচালক দেড় হাজার টাকা দাবি করে বলে ওঠে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত ৭০০ টাকা দেওয়ার পর দেহ মর্গে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়েও একইরকমভাবে জুলুমবাজির শিকার হয়েছেন চক্রবর্তী পরিবারের লোকজন। মর্গেও তাঁর কাছে দেড় হাজার টাকা দাবি করা হয়। অভিযোগ করা হয় সেখানে মর্গের অফিসে যোগাযোগ করেও কোনও সুরাহা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৮০০ টাকা দিতে বাধ্য হন। এই বিষয়ে তিনিও এদিন জেলা শাসক, সভাধিপতি ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান।