সুদীপ সেন, বাঁকুড়া:- প্রযুক্তি অনেক কিছু যেমন মানুষ কে দিয়েছে, কেড়ে নিয়েছে ও তেমনি অনেক কিছু।
ইন্টারনেট, গুগল সার্চ করলেই সারা বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়।
বিশ্বের যেকোনো পুস্তক, তথ্য একটা বোতাম টিপলেই মিলবে আপনার চোখের সামনে।
বিশ্বের প্রায় অধিকাংশই যুবক, যুবতী এখন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
একসময়ের রমরমিয়ে চলা গ্রন্থাগার গুলি তাই এখন অধিকাংশই হয় বন্ধ নতুবা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।
নেই কোনো গ্রন্থাগারিক বা কর্মী নিয়োগ। ফলে বন্ধ হয়েছে অনেক গ্রন্থাগার।
বাঁকুড়া জেলার এমন ই একটি গ্রন্থাগার তিলুড়ী গ্রামীণ গ্রন্থাগার।
বহু দুষ্প্রাপ্য পুস্তক এই গ্রন্থাগারে রয়েছে।
একসময় রমরমিয়ে চলা এই গ্রন্থাগারে সাধারণ পুস্তক প্রেমীদের সাথে ছিল ছাত্র ছাত্রীদের আনা গোনা। অসংখ্য ছাত্র, ছাত্রী নানা রেফারেন্স বই নিতে এই গ্রন্থাগারে ভিড় করতো।
কিন্তু প্রায় বছর অতিক্রান্ত, এই কলতানমুখর পুস্তক মন্দির এখন আগাছায় পরিপূর্ণ, বন্ধ।
পুস্তক প্রেমীদের হতাশা।
আর কি খুলবে না এই গ্রন্থাগার!!!
কি হবে ওইসব বিপুল সংখ্যক পুস্তকের? সেগুলো কি পুস্তকের প্রিয় খাদক উইপোকার পেটে যাবে?
ঊর্ধ্বতন প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে কি বাঁচবে না এই গ্রন্থাগার বা পুস্তকগুলো?