দুবরাজপুর চক্রের বার্ষিক চক্র ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।

0
449

দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- খেলাধূলা ছাত্র জীবনে এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। খেলাধূলার প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল শরীর এবং মানসিক গঠন সুস্থভাবে বৃদ্ধি করা। খেলাধূলার মাধ্যমে শুধু শারিরীক পরিবর্তন ঘটে তা নয়, মানসিক পরিবর্তনও ঘটে। তাই আজ বীরভূম জেলার দুবরাজপুর চক্রের অধীনে ৫ টি অঞ্চল ও একটি পৌরসভা এলাকার মোট ৬ টি অঞ্চলের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বার্ষিক চক্র ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হল দুবরাজপুর পৌর ক্রীড়াঙ্গনে। এদিন মশাল জ্বালিয়ে এই বার্ষিক চক্র ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সূচনা করেন দুবরাজপুর পৌর উপ পৌর প্রধান মির্জা সৌকত আলী। তারপর পতাকা উত্তোলন করেন দুবরাজপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে ও দুবরাজপুর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সৈকত ঘোষ। এদিন উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ডক্টর প্রলয় নায়েক, দুবরাজপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে, উপ পৌর প্রধান মির্জা সৌকত আলী, বালিজুড়ি পঞ্চায়েত প্রধান আফ্সানা বিবি, দুবরাজপুর পৌরসভার কাউন্সিলার সাগর কুণ্ডু, বিশিষ্ট আইনজীবী স্বরুপ আচার্য, বীরভূম জেলা তৃণমূল শিক্ষক সমিতির সভাপতি অরিন্দম বোস, সম্পাদক সুদীপ মাহাতা সহ এই চক্রের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা। এদিন উপস্থিত অতিথিদের পুষ্পস্তবক ও উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করেন শিক্ষিকারা। এদিন বার্ষিক চক্র ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় CWSN সহ ৪২ টি ইভেণ্টের খেলা হয়। প্রতিটি ইভেণ্টে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানাধিকারীরা আগামী ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি মহকুমা স্তরে দুবরাজপুর পৌর ক্রীড়াঙ্গনে অংশগ্রহণ করবে। বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ডক্টর প্রলয় নায়েক জানান, আমাদের এখানে ছাত্রছাত্রীরা মনের আনন্দে এবং প্রাণের আনন্দে খেলাধূলা করছে। এক কথায় পড়ার ছলে খেলা এবং খেলার ছলে পড়া। এটা একটা উৎসবের আকার নিয়েছে। এখানে সমস্ত অঞ্চলের শিক্ষক শিক্ষিকারা দায়িত্ব নিয়ে ভূমিকা পালন করছেন। এখানে সফল ছাত্রছাত্রীরা এই গ্রাউণ্ডেই মহকুমা স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। তারপর জেলা স্তরে তারা অংশ নেবে। অন্যদিকে দুবরাজপুর চক্র বার্ষিক ক্রীড়া কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শিক্ষক রামতনু নায়ক ও অনুপম গাঙ্গুলী জানান, বিগত দু’বছর করোনা অতিমারির জন্য আমরা কচিকাঁচাদের নিয়ে কোনো খেলা করাতে পারিনি। ফলে আমরা মনমরা ছিলাম। কিন্তু করোনা আবহ কাটিয়ে কচিকাঁচারা আনন্দের সাথে খেলাধূলা করছে। এখানে বিভিন্ন অঞ্চলের ৩০০ শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ২২০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। তিনি আরও জানান, এখানে খেলার মাধ্যমে তারা উৎসাহিত হচ্ছে, পুরস্কার পাচ্ছে এবং আনন্দ হচ্ছে তাদের।