জলপাইগুড়ি মুক্তাঙ্গন নাট্যগোষ্ঠী আয়োজne মরণোত্তর অঙ্গদানের অঙ্গীকার শিবির।

0
421

জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- জলপাইগুড়ি মুক্তাঙ্গন নাট্যগোষ্ঠী আয়োজন করেছিল মরণোত্তর দেহদান অথবা অঙ্গদানের অঙ্গীকার শিবির। এদিনস্থানীয় বান্ধব নাট্য সমাজের মিনি হলে জলপাইগুড়ি সায়েন্স এন্ড নেচার ক্লাবের সহযোগিতায় এই শিবিরটি অনুষ্ঠিত হয়। এই শিবিরে শহর ও শহরতলীর নাট্য সাংস্কৃতিক কর্মী থেকে গৃহবধূ প্রায় কুড়ি জন বিভিন্ন বয়সী মানুষ মরণোত্তর দেহদান অথবা অঙ্গদানের ইচ্ছাপত্রের স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন মুক্তাঙ্গন নাট্যগোষ্ঠী র সদস্যরা। মুল অনুষ্ঠানে অঙ্গদান ও দেহদানের প্রয়োজনীয়তা ও এর ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করেন সমাজ কর্মী তথা দলের শুভানুধ্যায়ী সদস্য জাতিশ্বর ভারতী। চিকিৎসা বিজ্ঞান এ এই কাজের অবদান ও প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে আলোচনা করেন সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ডা: গৌতম ঘোষ, অঙ্গদান ও দেহদানের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে বলেন সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের সহ সভাপতি তুলসী ধর, এবং পরিচালন সমিতির সদস্য দিলীপ হোড়।
সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের সম্পাদক ড. রাজা রাউত আলোচনা করেন অঙ্গীকারবদ্ধ মানুষের মৃত্যু পরবরতীকালে পরিজন দের করণীয় কি এবং কোন কোন অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে সে বিষয়ে।
জলপাইগুড়ি জেলায় মরণোত্তর দেহ সংরক্ষন এর পরিকাঠামো র অভাবও উঠে আসে এদিনের আলোচনায়।
এদিনের সভায় অঙ্গীকার করলেন নির্দেশক রীনা ভারতী, জাতিশ্বর ভারতী, অলোক সুধীর সরকার, সব্যসাচী দত্ত, অশ্রু সরকার, রিখিয়া সরকার, স্বপ্না গুহ, রঞ্জন ভট্টাচার্য্য, পম্পা রায় চৌধুরী, কৌশিক চক্রবর্ত্তী, জৈত্র ভারতী, রোহিত মৈত্র, প্রমীলা চ্যাটার্জী, আনন্দ দুলাল মল্লিক, লুনা রায় লস্কর, সোনালী সিং, এবং মৌসুমী কুন্ডু।