নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- শান্তিপুর ব্লকের আড়বলদা গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীনা এক বৃদ্ধার নামে থাকা জমি নিয়ে ছেলে উত্তম রাজওয়ার মেয়ে আহ্লাদি রাজোয়ারের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের।
মেয়ে আহ্লাদীর দাবি, মায়ের মানসিক ভারসাম্যহীনতার সুযোগ নিয়ে, তার দাদার ছেলে ষষ্ঠী এবং শক্তি জোর করে জমি লিখিয়ে নেয়। পরবর্তী সময়ে মা আইনের দ্বারস্থ হয়, যা বর্তমানে আইনের বিচারাধীন। প্রতি মায়ের তত্ত্বাবধানে চাষ করা মুশুরি মামা এবং তার দুই ছেলে ফসল কেটে নষ্ট করে দেয়। শান্তিপুর থানা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এসে জানিয়ে যায়, আপাতত আহ্লাদীর হেফাজতেই থাকবে জমি। এমত অবস্থায় আজ সকালে উত্তম রাজওয়ার তার স্ত্রী চন্দনা রাজওয়ার এবং দুই ছেলে শক্তি ও ষষ্ঠী জমিতে ধান লাগানোর উদ্দেশ্যে জল দিতে শুরু করে শ্যালো মেশিনে। বিষয়টি শুনে আহ্লাদি রাজুয়ার মায়া এবং সুমিত্রা তার দুই মেয়েকে নিয়ে দেখতে গেলে তিনজনকেই , বেধড়ক মারধর শুরু করে সাবল লোহার রোড দিয়ে। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে রক্তাক্ত অবস্থায়, দুই মেয়েকেও মাথায় আঘাত করে তাদের মামার স্ত্রী মামি এবং ছেলেরা। প্রচন্ড আর্তনাদে ছুটে আসে পাশে জমিতে কাজ করা কৃষকরা, তারা উদ্ধার করে শান্তি পুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে, সেখানে আহ্লাদি দেবীর মাথায় চারটি সেলাই পড়ে এবং সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। সকলে মিলে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।