সারা রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলাও ধর্মঘট অব্যাহত সরকারি কর্মচারীদের,ভোগান্তি আমজনতার।

0
210

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-ডিএ (DA) আদায়ের দাবিতে ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটে নেমেছেন সরকারি কর্মীরা। পালটা ধর্মঘট রুখতে সবরকমভাবে প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসনও। বৃহস্পতিবার বিকেলেই সরকারি কর্মীদের ধর্মঘটে শামিল হওয়া থেকে আটকাতে হাজিরা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছিল নবান্ন।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার যদি সরকারি কর্মীরা হাজির না থাকেন, তাহলে তাঁদের বেতন তো কাটা যাবেই, সার্ভিস ব্রেক হবে। আর শুক্রবার সকালে আরও কড়া রাস্তায় হাঁটল রাজ্য প্রশাসন। এই দিন জেলায় জেলায় ‘অ্যাটেনডেন্স ফরম্যাট’ পাঠানো হয়েছে। তাতে হাজিরায় সই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাত্‍ কোনও কর্মী অফিসে গিয়ে কাজ করছেন কি না, কাজের গোটা সময় উপস্থিত রয়েছেন কি না, তা একেবারে আতসকাচে যাচাই করে নিতে চাইছে নবান্ন। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সকাল ১০.৪৫ এ সরকারি অফিসে উপস্থিত হয়ে প্রথম হাজিরা খাতায় সই করতে হবে কর্মীদের। এরপর বেলা ১২টা, দুপুর ১.৩০এ সই করে নিজের কর্মপরিচয় জানাতে হবে। বিকেল ৫টা অর্থাত্‍ ছুটির সময় ফের আরেকদফা সই করতে হবে। অর্থাত্‍ গোটা কর্মসময়ের ৪ বার সই করে কোনও কর্মীকে প্রমাণ দিতে হবে যে তিনি ডিএ ধর্মঘটে (DA Strike) শামিল হননি, নিয়ম মেনে অফিসে কাজ করেছেন। সূত্রের খবর, সকাল ১১টা নাগাদ নবান্ন-সহ রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরগুলিতে কর্মীদের হাজিরা ৯২ শতাংশ। কলকাতা পুরসভায় কর্মীদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে তবে অফিসে প্রবেশাধিকার মিলছে। তবে পুরসভার বাইরে বিক্ষোভ জারি। ভিতরে অবশ্য পুরো কাজের পরিবেশ। সবমিলিয়ে, কলকাতার সরকারি দপ্তরগুলিতে ধর্মঘটের রেশ নেই বিশেষ।
তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ধর্মঘটের প্রভাব পড়ছে বলেই খবর। তবে সরকারি কর্মচারীদের ওফিসে হাজিরার শতাংশ খুবই কম। ভোগান্তির শিকার আমজনতার।