জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- গত ১০ই মার্চের প্রশাসনিক ধর্মঘট ঘিরে তরজা অব্যাহত জলপাইগুড়িতে। তৃণমূল প্রভাবিত দুই শিক্ষক সংগঠনকে বিঁধলেন ২ বাম শিক্ষক সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব।আইনের দ্বারস্থ হওয়ারও হুঁশিয়ারি দিলেন বাম শিক্ষক নেতারা।সোমবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে ABTA-র জেলা সম্পাদক প্রসেনজিত রায় বলেন,ধর্মঘটের দিন নিজের স্কুল ছেড়ে কি কারণে সদর গার্লসে গিয়েছিলেন তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জেলা কনভেনার অঞ্জন দাস? উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জয়েন্ট কনভেনার হিসাবে তার পাওয়া ১৪ টি অনডিউটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।এর পাশাপাশি প্রসেনজিত বাবুর দাবি,১০ই মার্চ সদর গার্লসের সামনে প্রধান শিক্ষিকা ও ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেওয়া এক সংগঠনের সদস্যার সাথে অভব্য আচরণ করেছেন অঞ্জনবাবু।তার দাবি,অঞ্জনবাবুকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।অপরদিকে বর্ষীয়ান বাম শিক্ষক নেতা অমল গোস্বামী বলেন, শিক্ষকসুলভ আচরণ সেদিন অঞ্জনবাবু করেননি।তার ব্যবহার নিন্দাজনক।অপরদিকে নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির টার্গেটে স্বপন বসাক সহ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জনাকয়েক নেতা ও কর্মী। সংগঠনের জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝা বলেন, আইন বিরুদ্ধভাবে অন্য সংগঠনের ব্যানার পোস্টার স্কুল গেট থেকে খুলেছেন স্বপনবাবু ও তার অনুগামীরা।স্কুল টাইমে বনধ তোলার দায়িত্ব তাকে কে দিয়েছে? নিজের স্কুলে না গিয়ে ওই দিন অন্য ২টি স্কুলে তিনি কি করছিলেন?
@
অপরদিকে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা কনভেনার অঞ্জন দাস বলেন, আমার অনডিউটির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর বুঝবে।উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জয়েন্ট কনভেনার হিসাবেই তিনি সদর গার্লসে যান।উল্টে তার সাথেই দুর্ব্যবহার করা হয় বলে পাল্টা অভিযোগ অঞ্জনবাবুর।অন্যদিকে WBTPTA-র জেলা সভাপতি স্বপন বসাক বলেন,ওইদিন যে দুটি স্কুলে অচলাবস্থা কাটাতে তিনি গিয়েছিলেন সেই স্কুলগুলো তার স্কুলের খুব কাছেই।ওইদিন সময়মতোই তিনি নিজের স্কুলে হাজির হন।তার সাথে থাকা শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা প্রাতবিভাগে শিক্ষকতা করেন বলে দাবি করেছেন তিনি।