নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:—চাঁচলে জীবন দিয়ে ভালোবাসার বিসর্জন দিলেন প্রেমিক।এরই নাম কি ভালোবাসা? তবে প্রেমিকের প্রেম বিসর্জনে দায়ী কারা?প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ।বাড়ির শোওয়ার ঘর থেকে প্রেমিক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার কে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের চাঁচলে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার চাঁচল থানার নয়নপুর-গৌরীপুর এলাকায়।পুলিশ সূত্রে জানা যায়,মৃত ওই যুবকের নাম বাসুদেব মহলদার(২০)।সে পেশায় ছিল ট্রাক্টর চালক।
পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় বলে খবর।কি কারনে ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়।ওই যুবকের পরিবারের দাবি,এলাকার এক কিশোরীর সঙ্গে ওই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।কিশোরীর পরিবারের তরফে সম্পর্ক মানেননি।কিশোরী ও যুবক লুকিয়ে বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।মেয়ের তরফে খোঁজাখুজি শুরু হয়।পরে এলাকার একটি গ্রাম থেকে সন্ধ্যা নাগাদ তাদের ধরে ফেলে মেয়ের বাড়ির লোকজনেরা।মেয়ে নাবালিকা।প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির মেয়েকে তুলে নিয়ে এসেছে এই অভিযোগ তুলে যুবককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।পাশাপাশি,মেয়ের গ্রামে একটি সালিশি সভা ডাকা হয়।সেখানে যুবককে দায়ী করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ।যুবকের পরিবার সালিশি সভায় জরিমানার বড় অঙ্কের টাকাও দিয়ে দেয় বলে দাবি।তারপরে সালিশি সভা থেকে রাতেই যুবককে নিজের বাড়িতে আনেন তার বাবা।যুবকের বাবার দাবি,ছেলেকে মারধর এবং সালিশি সভায় জরিমানা করার জন্যই বাড়ির ছেলে শোওয়ার ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।মৃত যুবকের বাবা দিলীপ মহলদার অভিযোগ করে বলেন,মেয়ের পরিবারের অত্যাচারেই ছেলে আত্মঘাতী হয়েছে।তাদের শাস্তির দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার দাবি জানাচ্ছেন বুদ্ধিজীবি মহল।চাঁচলের এক আইনজীবী সুবেশ মিত্র বলেন,আইন ও বিচার ব্যবস্থা অনেক উন্নত।গ্রামের মোড়ল মাতব্বরা সালিশিসভা করে টাকা ভাগাভাগি করে।তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।নিখরচায় যেকোনো মানুষ লোকআদালতে বিচার নিতে পারেন।গ্রামের মোড়ল মাতব্বর দের জন্য আদালতে না এসে গ্রামে সালিশিসভা বসাচ্ছে।এতে কোনো সুরাহা না হয়ে মানুষের প্রান যাচ্ছে।