দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলটুকু পায়না গোটা গ্রাম,বাধ্য হয়ে কলসি,বালতি নিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন প্রমিলা বাহিনী।

0
151

আবদুল হাই,বাঁকুড়া:- ছবিটা কোন প্রত্যন্ত গ্রামের নয় এক্কেবারে বাঁকুড়া শহর থেকে ঢিলচড়া দূরত্বে দেরুয়া গ্রামের। সরকার যেখানে বারবার উন্নয়নের সমীক্ষা তুলে ধরছে আম জনতার সামনে সেখানে উল্টো পূরণের সাক্ষী থাকলো বাঁকুড়ার এই জায়গা। এই যুগের দাঁড়িয়েও তীব্র জল কষ্টে গোটা গ্রাম। পানীয় জল টুকুর সংস্থান আজ দুই বছর ধরে ঠিকঠাক হয় না।নিজের সহ্যের সীমা অতিক্রম করায় আজ বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ করলেন প্রমিলা বাহীনি। এদিন বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের দেরুয়া মোড় এর কাছে গ্রামবাসীরা সম্মিলিতভাবে বাধ্য হয়ে জাতীয় সড়কে স্তব্ধ করলেন পানীয় জলের দাবিতে। দেরুয়া গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ গত দুই বছর আগে ঘরে ঘরে পানীয় জলের লাইন সংযোগ স্থাপন হলেও তাতে জল পড়ে না। বিষয়টা নিয়ে অনেকবার লিখিত আকারে স্থানীয় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে জানালেও এর কোন সমাধান হয়নি এর আগেও পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ কর্মসূচি পালন হয়েছে এই জায়গায়। তাই জন কষ্টের জন্য বাধ্য হয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি যতক্ষণ না বিডিও সাহেব এসে এর একটা বিহিত করছে ততক্ষণ তাদের এই অবরোধ চলবে। এই অবরোধের খবর পেয়ে বাঁকুড়া থানার পুলিশ ছুটে এসে গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা যেন নাছোড়বান্দা।অবশেষে একাধিক পুলিশ কর্মীর আগমনের পরে গ্রামবাসীদের দীর্ঘক্ষণ বোঝানোর পরে তারা আশ্বস্ত হয়ে অবরোধকে তুলে নেয়।

এই বিষয়ে বিজেপি পরিচালিত জগদল্লা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুশান্ত শিব জানান বিষয়টি কথা শুনেছে সে, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পি.এইচ.ই দপ্তরকে জানানো হলে পিএইচই এর কন্টাকটারদের ঠিকঠাক টাকা দেওয়া হয় না বলে তারা জানিয়েছেন,এই বিষয়টি নিয়ে তিনি বারবার বিডিও কে জানিয়েছেন বলে তার দাবি।

অপরদিকে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সোমনাথ চৌধুরী জানান বিজেপি পরিচালিত জগদল্লা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের তো অনেক ক্ষমতা তারা এই বিষয়টা নিয়ে কেন মুভ করছে না তারা চাইছে সমস্যাটা জিয়িয়ে থাক ভোটের রাজনীতি করার জন্য, তিনি জানান জলের এই সমস্যাটির কথা তারা তাদের তরফ থেকে বিষয়টা বিডিও সাহেবও জানিয়েছেন।


তবে বিষয় যাই হোক না কেন গ্রামবাসীরা চাইছে পানীয় জল, কবে এই সমস্যা থেকে অব্যাহতি পাবে তারা সেটার দিকে তাকিয়ে পুরো গ্রাম।