খাঁচার ভিতর নয়, মুক্ত আকাশে ও নয়, প্রামানিক পরিবারের সকলের সাথে ছোট থেকেই মানুষ হয়ে উঠলেন মিতুয়া।

0
279

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- দেখতে দেখতে ১৪ বছর হয়ে গেল, ধীরে ধীরে পরিবারের সকলের সাথে মানুষের হয়ে ওঠে মিতুয়া। মা-বাবাকে হারিয়ে ঝড় বৃষ্টির রাতে বাসা হারিয়ে প্রামানিক পরিবারের হাতে এসে পড়লেন মিতুয়া। আজও মা-বাবাকে হারিয়ে রয়ে গেলেন প্রামানিক পরিবারে। মিতুয়া মানুষের মত কথা বলতে না পারলেও মিতুয়ার ভাষা আকার ইঙ্গিতে কথা বুঝতে পারেন পরিবারের সকলে। শান্তিপুর থানার ফুলিয়ার বাসিন্দা সত্য রঞ্জন প্রামাণিক পেশায় জোগালি। পরিবারের লোকজন বলতে দুই ছেলে ও স্ত্রী এবং মিতুয়া। পরিবার সূত্রে জানা যায় আজ থেকে ১৪ বছর আগে হবিবপুর থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন সত্যরঞ্জন বাবু তার স্ত্রীকে নিয়ে। হঠাৎই শুরু হয় ঝড় বৃষ্টি , রাস্তার পাশে গাছের তলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। হঠাৎই গাছ থেকে পড়ে যায় এই টিয়া পাখির বাচ্চাটি । তখনো ওড়ার মত শরীরে পালক ওঠেনি বাচ্চাটির। এমত অবস্থায় ঝড় জল রাতে কোথায় রাখবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না সত্য বাবু। এভাবেই নিয়ে চলে আসেন বাড়িতে। তাকে নিজের ছেলের মত স্নেহ মমতা দিয়ে বড় করে তুললেন বাচ্চাটিকে। ভালোবেসে পরিবারের সকলে মিলে নাম রাখেন “মিতুয়া “। মিতুয়া ধীরে ধীরে বড় হলো। মুক্ত আকাশে উড়ে যাওয়ার মত পালক গজালো। কিন্তু পরিবারের ভালোবাসা ছেরে আজও যেন মুক্ত আকাশে যেতে চাইছেন না মিতুয়া। পরিবারের সকলের সাথে খেলাধুলা কখনো সাইকেলে চেপে ঘুরতে যাওয়া। বিকেল হলেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে আড্ডা মারা। যেন কিছুই ভুলতে পারছেন না মিতুয়া।