পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার আগে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান নদীয়ার শান্তিপুর বাগআঁচড়ায় শতাধিক কর্মী সমর্থকের।

0
131

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- গ্রামের ভোট চেহারা নেয় উৎসবে। আর সেই উৎসবের একটি পর্যায় দেখা গেলো নদীয়ার শান্তিপুর বাগআঁচড়া গ্রামে।
অত্যাধিক গরম, স্কুল কলেজের পরীক্ষা এ ধরনের নানান ধরনের বিষয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও, দেওয়াল দখল, এবং পঞ্চায়েতে উন্নয়নের নিরিখে নানান রকম চুল ছাড়া বিশ্লেষণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে পাড়ার চায়ের দোকানেও।
কে কোন দলে প্রার্থী হবে তাই নিয়ে, গুঞ্জন আনাচে কানাচে।
এরকম এক পরিস্থিতির মধ্যে, নদীয়ার শান্তিপুর বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত, বড় কুলিয়া ঢাকা পাড়া এবং কুতুবপুর এলাকার শতাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক পরিবার আজ যোগদান করে তৃণমূলে।
উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী, ব্লক এ সভাপতি সুব্রত সরকার, জেলা পরিষদের সদস্য নিমাই চন্দ্র বিশ্বাস, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিনা প্রামানিক ,
সম্পাদক সাধন ঘোষ, বাপি সরকার, পঞ্চায়েত প্রধান মমতা ধারা, উপপ্রধান সুজয় সরকার , যুব সম্পাদক রাজু দাস সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং ব্লকের নেতৃত্ব। ওই তিনটি এলাকার মোট ১৫ জন নেতৃত্ব এদিন বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামীর হাত থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা গ্রহণ করে, তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করতে সংকল্প গ্রহণ করেন। তারা দাবি করেন তাদের সঙ্গে প্রায় শতাধিক পরিবারের সম্মতি ক্রমে তাদের আজ এই যোগদান। বিজেপি ছাত্র ছেড়ে আসার কারণ হিসেবে তারা বলেন, ধর্মের কিছু ছাড়া মানুষের জন্ম হতে তার কোন কাজ বা সরকারি প্রকল্প লক্ষ্য করা যায় না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি বিভিন্ন কলকারখানা বেসরকারিকরণ এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও তাদের কোনো চিন্তাভাবনা নেই। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পঞ্চাশটিরও বেশি বিভিন্ন প্রকল্প সমাজের সকল স্তরের সাধারণ মানুষের কাজে লাগছে। তাই মানুষ কে যাতে পরিষেবা দেওয়া যায় সেই বিষয়ে, আগ্রহী হয়ে আজকের এই যোগদান।
বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী বলেন, শুধু বাগআঁচড়া নয়, সমগ্র শান্তিপুর জেলা তথা রাজ্যে মানুষ স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কাজ করতে। কারণ এখানে স্থানীয় কোন নেতৃত্ব নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সকলে কাজ করেন। তবে মাঝেমধ্যে কিছু বিভ্রান্তি ছড়িয়ে, এবং জাতপাতের বিদ্বেষ বাড়িয়ে, বিজেপি প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে, কিন্তু সাধারণ মানুষ তাতে আমল দেয় না। একদিকে মানবিক মুখ্যমন্ত্রী অন্যদিকে কর্মীদের আনুগত্যর ফলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিপুর বিধানসভা অন্তর্গত ছটি পঞ্চায়েতেই দৃষ্টান্তমূলক ফলাফল করবে তৃণমূল।