চা বাগানের জমি কর্পোরেটদের হাতে, ভুমি হারা হবার আশঙ্খায় বারো লক্ষ আদিবাসী সহ অন্যান্য শ্রমিক পরিবার, রাজ্য সরকারের তৈরী জমি লুটের আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চা বলয়ে।

0
157

নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়িঃ- চা বাগান সহ অন্যান্য ক্ষেত্রের লিজহোল্ড জমিকে ফ্রী হোল্ড করে উর্ধসিমা তুলে অন্যান্য ব্যাবসায় রূপান্তর এবং ব্যাবহারের জন্য পশ্চিমবঙ্গ ভুমি সংস্কার আইনে যে সংশোধন দু হাজার তেইশ সালে এনেছে তার ফলে কার্যত ভুমি হারা হতে হবে কয়েকশো বছর ধরে বংশানুক্রমে চা বাগানে কাজ করে বসবাসকারি আদিবাসী শ্রমিক সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ভূমিপুত্ররা।
এমনটাই আশঙ্খা এই মুহূর্ত দানা বেঁধেছে জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং জেলার বিস্তীর্ণ চা বলয়ে।
রাজ্য সরকারের তৈরি এই নতুন আইনের বিরোধিতা করে বিগত কয়েক মাস ধরেই, বিভিন্ন চা বাগান শ্রমিক সংগঠন গুলোর যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট ফোরাম অফ ট্রেড ইউনিয়নস ওফ টি ইন্ড্রাষ্ট্রিজ ওফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর ছাতার তলায় একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ আন্দোলন করে আসছিলো, ব্রেহস্পতিবার সেই আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়লো জলপাইগুড়ি, ডুয়ার্স সহ দার্জিলিং জেলার চা বলয়ে।
ব্রেহস্পতিবার জয়েন্ট ফোরামের পক্ষ থেকে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ভূমি ও ভুমি রাজস্ব দপ্তরে জমায়েত হয়ে আন্দোলনকারীরা দ্রুত চা বাগানবাসীদের জমির অধিকার দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া সহ রাজ্য সরকারের জমি লুটের আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পরে।
বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উত্তরবঙ্গের প্রবীণ চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব তথা আইনজীবী কমল কৃষ্ণ ব্যানার্জি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে এই চা বাগান শ্রমিকেরা নিজেদের শ্রম দিয়ে একটি শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে, আজ রাজ্য সরকার সেই চা বাগানের জমি থেকে তাদের বঞ্চিত করে কর্পোরেট জগতের হাতে জমি লুট করার লাইসেন্স দিয়ে দেবার অনুকূল আইন পাশ করেছে।