১০০ বছর ছুই ছুই, রাজ্যের মন্ত্রীর হাত থেকে সম্মান পেলেও এখনো পাননি বার্ধক্য

0
214

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ১০০ বছর ছুই ছুই, রাজ্যের মন্ত্রীর হাত থেকে সম্মান পেলেও এখনো পাননি বার্ধক্য ভাতা। বঞ্চিত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর থেকেও। এমনই এক কাহিনী উঠে এলো নদিয়ার শান্তিপুর ফুলিয়ার বেলঘড়িয়া এক নম্বর পঞ্চায়েতের মানদা বসাখ নামে এক বৃদ্ধার পরিবার থেকে। জানা যায় বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে সম্মান জানানো হয় মানদা দেবী কে। সম্মান তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। সম্মান তুলে দেওয়ার পরে অনেক উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা তার বয়সকে অনুধাবন করে প্রণাম করে চরণ ছুঁয়ে। এতো গেল সম্মানের কথা, কিন্তু পরিবারটি এখনো হত দরিদ্র তাই দিন কাটাচ্ছে। বৃষ্টি হলেই টিনের ফুটো দিয়ে জল পড়ে সারা ঘরে, কিন্তু উপায় তো নেই তার মধ্যেই করতে হয় রাত্রি বাস। পরিবার জানান, মানদা দেবীর প্রায়ই ৯৯ বছর অতিক্রম করে ১০০ বছর ছুঁই ছুঁই। এখনো পর্যন্ত তিনি যথেষ্ট সাবলীল, চরকাই সুতো পাকিয়ে সহযোগিতা করে পরিবারকে। নাতি ও ছেলে হস্ত চালিত তাঁত বুনেই কোনরকম সংসার চালান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মাঝেমধ্যে বাড়িতে এসে সামান্য খোঁজ খবর নিয়ে যান, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্প থেকে এখনো বঞ্চিত তারা। মানোদা দেবীর পরিবারের কথা নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান জানান, তার আধার কার্ডের একটি সমস্যার কারণে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘরের একটু সমস্যা তৈরি হয়। আগামীতে তিনি যেন দ্রুত বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পায় সেটাই চেষ্টা করছি আমরা। এখন দেখার মানদা দেবীর পরিবার কত তাড়াতাড়ি সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা পায়। আদৌ কি মাথার উপরে জুটবে ছাদ, নাকি হতদরিদ্র তাই দিন কাটাতে হবে তাদের, সবই এখন সময়ের অপেক্ষা।