দামাল মেয়ে কুহেলি (ধারাবাহিক উপন্যাস, তৃতীয় পর্ব) : দিলীপ রায় (৯৪৩৩৪৬২৮৫৪)।

0
338
           বাবলা নদীর কিনারা দিয়ে মাটির  রাস্তা । নদীর পশ্চিম দিকে অর্থাৎ রাস্তা ঘেঁষে  প্রকাণ্ড একটি বট  গাছ । সেই বট গাছের নীচে স্কুটার রাখলো । তারপর নদীর খুব কাছাকাছি গিয়ে কুহেলি ও শীতল বসলো  । নদীর কিনারে বসে নদীর জলের মৃদুমন্দ ঢেউয়ের দিকে দুজন  তাকিয়ে । দুজনে চুপচাপ ।  অল্পবিস্তর বাতাস বইছে । সেই বাতাসে নদীর জলে মৃদুমন্দ ঢেউ । বৈকালিন পরিবেশটি তাদের কাছে মনোমুগ্ধকর । একজন পুরুষের সাথে ফাঁকা জায়গায় এইভাবে পাশাপাশি বসে থাকা কুহেলির জীবনে প্রথম । শীতল এখন পুরোপুরি যুবক । দুদিন পরে কলেজে ভর্তি হবে । অন্যদিকে কুহেলি একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হবে । তার শারীরিক স্থিতি দেখলে যে কেউ বলবে, কুহেলি পুরোপুরি বিয়ের উপযুক্ত । এইরূপ দুজন ছেলে-মেয়ে পাশাপাশি বসে বাবলা নদীর জলের দিকে তাকিয়ে । রাস্তা দিয়ে পথ চলতি মানুষ কৌতুহলি দৃষ্টিতে কুহেলি ও শীতলের দিকে তাকাতে তাকাতে নিজ গন্তব্যস্থানে ছুটছেন । সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়েছে । কিছুক্ষণের মধ্যে সন্ধ্যা নামবে । তবুও তারা নির্বিকার ।  পাশাপাশি চুপচাপ বসে ভাবনার জগতে নিমজ্জিত । বাড়ি ফেরার হেলদোল নেই । কুহেলির একদম বাড়ি ফেরার তাড়া নেই । শীতলও  তেমনি । শীতল মনেপ্রাণে চাইছে আরও দু-দণ্ড কুহেলির পাশে বসে থাকতে । কেননা তার জীবনেও এইভাবে বসে থাকার সুযোগ এই প্রথম । তাই কুহেলির উষ্ণ স্পর্শ  শীতলের মনকে উতলা করে তুলছে । তার মনের গহন গাঙে রীতিমতো চলছে কুহেলিকে ভাললাগার ঝড় । ভালবাসার তৃষ্ণায় শীতল এখন তৃষ্ণার্ত । কুহেলি এই মুহূর্তে তার পাশ থেকে উঠে যাক, সেটা শীতল কিছুতেই চাইছে না । কলেজ জীবনে প্রবেশের আগে কুহেলির স্পর্শানুভূতিতে শীতল বিভোর । 
   হঠাৎ চারিদিকে অন্ধকার । কুহেলি আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে, কালো মেঘে আকাশ ঢেকে গেছে । যেকনো মুহূর্তে ঝড় উঠবে । আকাশের অবস্থা ভাল না । আকাশে মেঘের অবস্থা দেখে কুহেলির ধারণা, ঝড় ও বৃষ্টি দুটোই হওয়ার সম্ভাবনা ।
    শীতল তখনও বা-হাতটা কুহেলির ডান হাতের উপর রেখে ভাবনার জগতে আবিষ্ট । যদিও এতক্ষণ কুহেলির হাতের ছোঁয়ায়  শীতল তার শরীরে একটা অদ্ভূত ধরনের আনন্দে মোহিত হয়েছিল । অন্যদিকে  শীতলের হাতের ছোঁয়ায় কুহেলিও এক চরম আনন্দানুভূতিতে আত্মহারা ছিল । আকাশের অবস্থা অবলোকন করে কুহেলি আর স্থির থাকতে পারলো না । বাধ্য হয়ে শীতলকে ধাক্কা দিয়ে বলল, “আকাশের  অবস্থা ভাল না । আকাশের দিকে তাকাও । মনে হচ্ছে শীঘ্র ঝড় উঠবে !”  
     কুহেলির ধাক্কায় ভাবনার জগত ছেড়ে শীতল স্বভাবিক ছন্দে ফিরলো  । আকাশের অবস্থা দেখে শীতল চমকে উঠলো ! তাই তো, শীঘ্র ঝড় উঠবে । ঝড় বৃষ্টির আগে বাড়ি ফিরতে না পারলে হিতে বিপরীত হবে । বলা ভাল,  কুহেলির স্পর্শের স্বাদ বিঃস্বাদ হয়ে তার জীবনে নানান অশান্তি সৃষ্টি হবে । বাড়িতে অহেতুক নানান কটু কথার সম্মুক্ষীণ হতে হবে । একেই কুহেলিকে শীতলদের বাড়িতে পছন্দ করে না । তার উপর ঝড় বৃষ্টির সময় দুজনের একসঙ্গে সময় কাটানো বাড়িতে ভালভাবে মেনে  নেবে  না । বরং শুরু হবে নানান অশান্তি । তাই তড়িঘড়ি স্কুটি স্টার্ট দিলো শীতল । স্কুটির সিটের পেছনে কুহেলি ।   
   নোনাই নদীর ব্রিজ পর্যন্ত যেতে-না-যেতেই ঝড় উঠলো । ঝড়ের দাপটে স্কুটি নিয়ে তারা এগোতে পারছে না । রাস্তা সুনসান ! লোক জনের চিহ্ন নেই । ব্রিজের উপর ওঠার মুখে পঞ্চায়েত থেকে তৈরী করা একটা বসার শেড  । সেটা আবার  ভাঙাচোরা । ছাদের টিন উধাও । সেখানে স্কুটি দাঁড় করালো । ঠিক সেই মুহূর্তে শুরু হলো মুষলধারে বৃষ্টি । শেডের এক কোনে দুজনে দাঁড়িয়ে । বৃষ্টির জলের ঝাপটায় দুজনে ভিজে একশা ! কুহেলিকে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে শীতল কুহেলিকে কাছে টেনে নিয়ে দাঁড় করালো । কুহেলি তখন শীতলের আবদারে বাধা দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই । তাই শীতলের সমস্ত আবদারে সায় দিলো কুহেলি । 
      বৃষ্টি থেমে গেছে !
      চারিদিকে অন্ধকার । ব্রিজ পার হয়ে অনেকটা রাস্তা । বাড়ি ফেরার জন্য তারা ব্যাকুল !  বৃষ্টির ঠাণ্ডা জলে ভিজে কুহেলির শরীর শীতে কাঁপছে । ভেজা অবস্থায় দুজন স্কুটিতে পুনরায় উঠলো । স্টার্ট দিলো  স্কুটি  । বৃষ্টিতে ভেজার জন্য স্কুটি হাতে  স্টার্ট নিচ্ছিলো না । শেষে পায়ে কিক্‌ দিয়ে শীতল স্কুটি স্টার্ট দিলো । কুহেলিকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে শীতল বাড়ি ফিরলো ।   
   বাড়িতে সানাই ও পান্তা মাসি । পান্তা মাসি আড় চোখে কুহেলির শরীরের  দিকে বিশ্রিভাবে তাকালো । কুহেলির মনে হলো, শীতলের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে সে খুব বড় পাপ কাজ করে ফেলেছে ।  অন্যদিকে সানাই ছুটে এসে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কান্না ভেজা গলায় বলল, “এতক্ষণ তোর জন্য টেনশনে আমি ঘামছিলাম । তুই বাড়িতে ফেরায় আমি শান্তি পেলাম ।  তুই শিগগির ঘরে গিয়ে জামা কাপড় পাল্টিয়ে আয় ।“
  ঐদিকে পান্তা মাসি তড়পাচ্ছে । পান্তা মাসি সানাইকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলেই চলেছে, “মেয়েটাকে এখন থেকে সাবধান করতে না পারলে শীঘ্র গোল্লায় যাবে । শীতলের সঙ্গে মেলামেশা আমার একদম ভাল লাগছে না । আপনি মেয়েটাকে বোঝান । নতুবা শীতল মেয়েটার অনেক ক্ষতি করে  ফেলবে ।“  
   সানাই যত বোঝাতে চাইছে, “মেয়েটা হন্তদন্ত হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ঢুকলো ।  জামা কাপড় ছাড়ুক । আগে কুহেলি স্বাভাবিক হোক । তারপর এসব কথা বলা যাবে । এইসব কথা শুনলে মেয়েটা কষ্ট পাবে ।“ সানাই মেয়েটাকে কোনোভাবে কষ্ট দিতে নারাজ ।  কিন্তু পান্তা মাসি সমানে বকবক করেই যাচ্ছে । 
    স্নানের ঘর থেকে বেরিয়ে কুহেলি সানাইকে বলল, “বাবা, এক কাপ চা বসাও । গরম গরম চা খেলে ঠাণ্ডাটা  কমবে ।“
   আমি চা বানাতে যাচ্ছি মা ।
   “আপনি যাবেন কেন ? আমি বাড়িতে রয়েছি, সুতরাং আমি চা বানিয়ে দিচ্ছি ।“ পান্তা মাসি সানাইকে রান্না ঘরে যেতে  বাধা দিয়ে বলল ।
  “না  পান্তা মাসি । তোমাকে চা বানাতে হবে না । আজ চা বানাতে বাবা যাক । কেননা বাবা আদা দিয়ে সুন্দর চা বানায় ।“  কুহেলি উল্টে পান্তা মাসিকে চা বানাতে  বাধা দিলো ।
   ভুল বুঝলো পান্তা মাসি । তাই সানাইকে বলল, “আপনার গুণধর মেয়ে এখন আমার হাতের বানানো চা খাবে না । সবটাই আমার কপাল । আপনাকে আগেও বলেছি এখনও বলছি,  এই মেয়ে আপনার কপাল পুড়াবে ।“ 
  পান্তা মাসির কথাগুলি কুহেলির ভাল লাগলো  না । সে এখন বড় হয়েছে । তার  নিজস্ব বোধবুদ্ধি হয়েছে । তা ছাড়া এই মুহূর্তে সে খুব ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত । তাই পান্তা মাসিকে শুনিয়ে বলল, “তুমি আমাকে ওসব কথা কেন বলছো ? আমি বাবার কাছে বায়না ধরেছি, বাবা আমার চা বানিয়ে দেবে । আর তা ছাড়া…………!”
   পান্তা মাসি প্রতি উত্তরে জানতে চাইল, “আর তা ছাড়া………?”
    আর তা ছাড়া তুমি আমাদের বাড়ির কে ?  যার উপর ভিত্তি করে তুমি তড়পাচ্ছো  !” 
    কেদে দিলো পান্তা মাসি । কাদতে কাদতে পান্তা মাসি সানাইকে বলল, “তোমার মেয়ে এখন বাড়ির সর্বময় কর্ত্রী  ! সুতরাং মেয়েকে আপনার  কিছু বলার ক্ষমতা নেই । বরং আপনি এখন মেয়ের  দাসানুদাস !”
   সানাই কোন্‌দিকে হেলবে বুঝতে পারছে  না । সানাই জানে, পান্তা মাসি ধীরে ধীরে তার হৃদমাঝারে অনেকখানি জায়গা দখল করে  নিয়েছে । তাই পান্তা মাসির কথা  ফেলাটাও  কঠিন  !  অন্যদিকে মেয়েও তার একমাত্র অবলম্বন । তাকেও এড়াতে পারছে  না । দুইজনের  মাঝে নিরুপায় হয়ে গালে হাত দিয়ে চুপচাপ বসে রইলো । 
   ঘরে ঢুকে পান্তা মাসি চা বানাতে শুরু করলো । তারপর চা নিয়ে কুহেলিকে যখন দিতে গেলো, কুহেলি রাগে চায়ের কাপ পান্তা মাসির হাত থেকে ঘরের মেঝেতে  ছুড়ে ফেলে দিলো ।
 সেটা দেখে সানাই রেগে গিয়ে ঠাস্‌ করে কুহেলির  গালে  জোরে  থাপ্পড়  ।
  রাগে অভিমানে কুহেলি ঘরের দরজা বন্ধ করে বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে  ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো ।
   রাত বাড়ছে । কুহেলি দরজা খুলছে না । ইতিমধ্যে পান্তা মাসি রাতে খিচুড়ি রান্না করেছে । খিচুড়ি রান্নার একটাই যুক্তি,  বৃষ্টি নেমেছে । ঠাণ্ডা আবহাওয়া । সুতরাং খিচুড়ি ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় মানাসই । 
  কুহেলির ফোন বেজে উঠলো, “হ্যালো ! তুমি কী করছো ?”
  শীতলের ফোন পেয়ে কুহেলি কেঁদে দিলো, “ঘরে শুয়ে আছি ।  তোমার সাথে ঘুরতে গিয়ে যতো অশান্তি ! অশান্তির মধ্যমণি পান্তা মাসি । বাবা অতটা কিছু বলেননি । কিন্তু পান্তা মাসির সেই এক কথা,  শীতল বড় লোকের ছেলে । তার সাথে মিশলে আখেরে কুহেলির সমূহ বিপদ !” 
  অন্যদিকে শীতলদের বাড়িতে কুহেলিকে নিয়ে বিশাল হুলস্থুল । শীতল বাড়ির ঘটনাটা কুহেলিকে শোনাতে শুরু করলো, “বাবা-মা কিছুতেই  তোর সাথে মিশতে দিতে  চাইছেন না ।“
  “কিন্তু কেন ?”  উতলা হয়ে কুহেলি জিজ্ঞাসা করলো ।  
   তাঁদের বক্তব্য, “কুহেলি নীচ সম্প্রদায়ের মেয়ে । তা ছাড়া ওদের  পূর্ব-পুরুষ  ছিল ঝাড়খণ্ডে । জাতের ঠিক নেই । কুহেলি সাঁওতাল নাকি অন্য সম্প্রদায়ভুক্ত ? সেটাই প্রশ্ন চিহ্নের মধ্যে ?  তাই এই মেয়ের সাথে শীতলকে মেলামেশা বন্ধ করতে হবে । কীরকম দুঃসাহস মেয়েটার । সেদিনকার মেয়ে, শীতলকে পটিয়ে তার সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ! আস্পর্ধা কম নয় । মেয়েটার বাবাকেও জানিয়ে রাখতে হবে, যাতে কুহেলি শীতলের সঙ্গে না-মেশে ।“ 
    কুহেলি পাল্টা প্রশ্ন করলো, “উত্তরে তুমি কী বললে ?”
    “আমি নীরব রইলাম । বাড়িতে একদণ্ড ভাল লাগছে না । সবাই মিলে আমাকে তোর বিরূদ্ধে নানান অভব্য কথা শোনাচ্ছে,  যেটা আমার কাছে খুবই বিড়ম্বনার !”
     কুহেলি আর কথা না বাড়িয়ে ফোনের লাইনটা কেটে দিলো । শীতলদের বাড়ির কচকচলানি শুনতে কুহেলির একদম ভাল লাগছিল না । তার উপর তাদের জাত নিয়ে অবান্তর কথাবার্তা । ঈশ্বরের অশেষ করুনায় তার জন্ম । জন্ম ও মৃত্যুতে তার কোনো হাত নেই । ঘটনাচক্রে তার সাঁওতাল সম্প্রদায়ে জন্ম । অথচ সমস্ত মানুষের শরীরের অংশ বেলেট দিয়ে কাটলে রক্ত বের হবে এবং সেই রক্তের রঙ লাল ! দেশের সমস্ত স্তরের মানুষের রক্ত লাল হলে, সমাজ ব্যবস্থায় এত ভেদাভেদ কেন  ? জাতপাত নিয়ে এত সোরগোল কেন ? এটাই কুহেলির মাথায় ঢুকছে না ! তার মতে, সমস্ত মানুষের একটাই জাত হওয়া উচিত, সেটা হচ্ছে মনুষ্যজাতি বা মানবজাতি ! 
     বাবার ডাকে ঘর থেকে বের হলো, কিন্তু রাত্রিবেলায় খিচুড়ি না খেয়ে শুয়ে পড়লো । কুহেলির শুয়ে পড়া ভালভাবে নিলো না পান্তা মাসি । পান্তা মাসি সানাইয়ের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করতে লাগলো । এমনভাবে কানের কাছে পান্তা মাসি কুহেলির বিরূদ্ধে সানাইয়ের কান ভারী করছে তাতে কুহেলির দেখে মনে হয় পান্তা মাসি সানাইয়ের বিবাহিত স্ত্রী । 
    তারপর………………?
    তারপর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলো । মাধ্যমিক রেজাল্ট বের হলো । কুহেলির স্টার মার্ক ।  সানাই মেয়ের রেজাল্ট দেখে খুব খুশী । তার বারবার মনে হচ্ছে কুহেলির মা বেঁচে থাকলে সে ভীষণ খুশী হতো ।  পান্তা মাসি শুধুমাত্র জানে, পরীক্ষায় পাশ । স্টার মার্ক সম্বন্ধে তার কোনো ধারণা নেই । তাই  পান্তা মাসির কাছে কুহেলি শুধুমাত্র মেট্রিক পাশ করেছে । তাতে তার কোনো তাপ-উত্তাপ  বা  আনন্দ নেই । 
   পান্তা মাসি ইতিমধ্যে সানাইয়ের জীবনে অনেকখানি জায়গা করে নিয়েছে । ইতিমধ্যে বার কয়েক সানাইকে বলা হয়ে গেছে,  পান্তা মাসিকে যোগ্য মর্যাদা দেওয়ার জন্য । কিন্তু সানাই আমতা আমতা করছে । তার মনে এখনও দ্বিধা !  কেননা সে মেয়েকে খুব ভয় পায় । পান্তা মাসির জন্য মেয়েটা বিগড়ে গেলে মেয়েকে নিয়ে তার আশার জলাঞ্জলি । সানাই চায়, তার মেয়ে পড়াশুনা করে শিক্ষিত হোক । মানুষের মতো মানুষ হোক । তাই পান্তা মাসির ঘ্যানঘ্যানানিতে কর্ণপাত করছে না সানাই ।  
                                                           ( চলবে )