আমরা খুবই গরীব অর্থের অভাবে বিদ্যুৎ নেই বাড়িতে, বলল এক কন্যাশ্রী।

0
214

বাঁকুড়া, আবদুল হাই:- বাঁকুড়া জেলার হিড়বাঁধ ব্লকের জামডহরা কালিন্দিপাড়া পিছিয়ে পড়া গ্ৰাম। বাঁসের কাজ করে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে কোনমতে সংসার চলে। এই পিছিয়ে পড়া গ্ৰামে মোট ১৬ ঘর বসতি। তারমধ্যে দুই ঘর বাদ দিয়ে বাকি ঘরের লোকজন বাঁশের কাজ না করলে সংসার চলে না। বর্তমান যুগে এখনো অর্থের অভাবে বিদ্যুৎ পর্যন্ত নিতে পারেনি বলে জানা গেছে। ভালো ভাবে যাদের সংসার চলে না তাদের কি করে ঘরে জ্বলবে আলো ? নবম শ্রেণীতে পাঠরতা এক কন্যাশ্রী ছাত্রী বলে, আমরা খুবই গরীব। পয়সার অভাবে বিদ্যুৎ নিতে পারেনি। এরফলে রাতে পড়াশোনা করতে পারিনা। গ্ৰীষ্মের অতিরিক্ত গরমে পাখার অভাবে ভালো করে ঘুম হয় না।এই গ্ৰামে এখনো পয়সার অভাবে তিনটি বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। হয়তো ছিল,কিন্তু হতদরিদ্র পরিবার বিদ্যুৎ বিল মেটাতে না পারায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। দৈনিক যাদের খাবার জোটে না তারা বিদ্যুৎ বিল মেটাবে কি করে?তাই বিদ্যুৎ এর আলো তাদের কাছে স্বপ্নের মত অধরা। রাতের অন্ধকার দূর করার একমাত্র উপায় প্রদীপের আলো আর লন্ঠনের আলো। বর্তমান যুগেও মানুষকে কেরোসিন শিখার আলোর উপর নির্ভর করে রাত কাটাতে হচ্ছে জানলে হয়তো অনেকেরেই কষ্ট হবে এবং খুব অবাক ও হবেন। এই পরিবার গুলো কোন সহৃদয় মানুষ এবং সরকারের সাহায্য সহযোগিতা চাইছে অন্ধকার থেকে আলোয় আসতে। মানুষ বড় কাঁদছে, তুমি তার পাশে এসে দাঁড়াও।