হাইকোর্টের ভৎসনার পর ময়নায় বিজেপি কর্মীর বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন।

0
279

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  হাইকোর্টের ভাৎসনার পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার মৃত বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার বাড়িতে পৌঁছালো কেন্দ্রীয় বাহিনী,বুধবার সন্ধ্যে নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর দল বিজয়কৃষ্ণর বাড়িতে এসে পৌছায়। বিজয়ের মৃত্যুর ৯ দিনের মাথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ময়নায় এসে পৌঁছল বলে পরিবারের দাবী। তবে দেরীতে এলেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগমণে মৃত বিজয়ের পরিবার যথেষ্টই খুশী। যদিও যে পুলিশের বিরুদ্ধে বিজয়ের মৃত্যুর সময় নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগ উঠেছিল, সেই রাজ্য পুলিশ দিয়ে ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মৃতের পরিবারের লোকজন। বিজয়ের ছেলে রনজিৎ জানিয়েছেন, “তদন্তভার যতক্ষণ পর্যন্ত না কেন্দ্রীয় এজেন্সীর হাতে যাচ্ছে ততক্ষণ আমাদের লড়াই চলবে। যারা এই ঘটনায় জড়িত তাঁদের প্রত্যেকের কঠিন শাস্তি চাই” দাবী করেছেন তিনি, প্রসঙ্গত গত ১লা মে সোমবার বিকেলে নিজের বাড়ির কাছেই দুষ্কৃতীদের হামলার নিহত হন ময়নার বাকচা পঞ্চায়েতের গোড়ামহল গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। ঘটনার সময় সেখানেই ছিলেন বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মী ও ছেলে রনজিৎ। দুষ্কৃতীদের হামলায় তাঁরাও জখম হন। এরপর তাঁদের চোখের সামনে থেকেই বিজয়কে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে বোমা মেরে এলাকা সন্ত্রস্ত করে দুষ্কৃতিরা পালিয়ে যায়। তবে মৃত বিজয়ের স্ত্রী ও ছেলের অভিযোগ, ঘটনাস্থল থেকে সামান্য দূরেই পুলিশ ফাঁড়িতে সাহায্য চাইতে গেলেও তাঁদের উলটে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে অভিযোগ করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা, পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে গোপনে দেহটিকে ঘুরপথে তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে চলে যায়। পরে পরিবারের অমতে দেহ ময়না তদন্ত করে দেওয়া হয়। যদিও ঘটনার পরের দিনই বিজয়ের পরিবার হাইকোর্টে গেলে দেহ কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে পুনরায় ময়না তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে মৃতের পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে সুরক্ষার নির্দেশও দেওয়া হয়। তবে গত সোমবার এই মামলার রায়ে হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশের তদন্তের ওপরেই আস্থা রাখে।
ঘটনার পর বেশ কিছুদিন কেটে গেলেও ময়নায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মেলেনি। এই নিয়ে বিস্তর গুঞ্জন শুরু হয় বিজেপির অন্দরেও। অবশেষে বুধবার দুপুর নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই আধিকারীক বিজয়কৃষ্ণর বাড়িতে আসে। জওয়ানরা কোথায় থাকবেন, কিভাবে মৃতের পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়া হবে সেই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। এরপর সন্ধ্যের ময়নায় পৌছান কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।