স্বামীর অত্যাচারে বিতাড়িত মহিলাকে স্ব-আধার হোমে থাকার ব্যাবস্থা করলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ।

0
279

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- স্বামীর অত্যাচারে বিতাড়িত মহিলাকে স্ব-আধার হোমে থাকার ব্যাবস্থা করলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ। শরীরে কালশিটে দাগ নিয়ে উদ্ভ্রান্ত ও আতঙ্কিত অবস্থায় এসেছিলেন এক বছর ত্রিশের মহিলা। স্বামী শাশুড়ি ও পরিজনদের দ্বারা অত্যাচারিত ও বিতাড়িত হন তিনি। কেড়ে নেওয়া হয় তার দুই সন্তানকেও, এমনটাই অভিযোগ ওই মহিলার । স্বামী সবসময় মদ্যপ অবস্থায় থাকে। শাশুড়িও সবসময় রনং দেহি।ফলে এক বস্ত্রে বেরিয়ে এলেও কোথাও তার ঠাঁই ছিল না। পিতা-মাতাও মৃত। একমাত্র দাদা আছেন। কিন্তু তিনিও বিমুখ। এমন-ই একটি মহিলাকে উদ্ধার করে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ, এই মত অবস্থায় তাকে পশ্চিম মেদিনীপুরের অফিসে নিয়ে আসেন দাতন-২ ব্লকের আইনি সহায়ক সোম মাইতি পাত্র। নির্যাতিতা ওই মহিলার নাম চন্দনা মিশ্র। তিনি জানান, তিনি উক্ত আইনি সহায়কের সাহায্যে জোড়াগেরিয়া ফাঁড়ির পুলিশকে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।অবিলম্বে সন্তানদের উদ্ধার করে তার সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থা প্রয়োজন।তার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি প্রিলিটিজেশন কেস শুরু করা হয়েছে।কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক দিব্যেন্দু নাথ অভিযোগকারিণীর বক্তব্য শুনেই জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিকের সাথে যোগাযোগ করেন এবং চন্দনা মিশ্র নামের ওই মেয়েটির সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য জানান। জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিকের তৎপরতায় বৃহস্পতিবার চন্দনা মিসরকে ইন্দা-খড়গপুর স্থিত প্রবুদ্ধ ভারতী শিশু তীর্থ পরিচালিত স্বা-আধার হোমে সাময়িকভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিনিয়র আইনি সহায়ক কাজী মহম্মদ মুর্তজা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে চেতনা সাথী নামের গাড়ির মাধ্যমে চন্দনা মিশ্রকে ওই হোমে পোঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া উক্ত ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেলদা থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।