নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ইতিমধ্যে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নমিনেশন জমা দেওয়ার প্রথম দিনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে বিরোধীদের ক্ষোভ বিক্ষোভ উঠে আসতে। হঠাৎ করে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের দিকেই অভিযোগের তীর ছুরছেন বিরোধীরা। বিরোধীরা যাতে নমিনেশন জমা দিতে না পারে এটাই চক্রান্ত তৃণমূলের দাবি বিরোধীদের। যদিও সারা নদিয়া জেলার পাশাপাশি আজ নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দপ্তরের সকাল থেকে চলছে নমিনেশন জমা দেয়ার পর্ব। আজ বিজেপি ও সিপিএমের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হয় নমিনেশন। সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দপ্তরে পরিদর্শনে আসেন রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, এরপর দলের কর্মীদের সাথে বেশ খানিকটা সময় কাটান তিনি করেন বিশেষ আলোচনা। অন্যদিকে সকাল থেকেই সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দপ্তরের চারপাশে পুলিশি করা নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয়েছে যাতে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। তবে পরিদর্শনের মধ্যে দিয়ে বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল যতই তড়িঘড়ি করুক না কেন আমরা প্রস্তুত আছি। সমস্ত জায়গায় আমাদের নমিনেশন জমা দেওয়া হবে, তবে হঠকারিতা সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি, বিচার ব্যবস্থার উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। সূত্রের খবর, এ বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন সহস্র পুলিশ বাহিনী দিয়েই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই নিয়ে বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় কে প্রশ্ন করলে তিনি কটাক্ষ সূরের বলেন, গোটা রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন মাত্র ৪০ হাজার পুলিশ কর্মী দিয়ে কিভাবে করা সম্ভব, তাও আবার এক দফাই। আমরা ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে দেবো না। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত।