কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা:- দীর্ঘ ৭৮ দিন ধরে হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। তবে এতদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নীরব ছিলেন। তাঁর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলগুলি। বৃহস্পতিবার সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘মণিপুরে মা-বোনেদের অসম্মান যারা করেছে তারা রেহাই পাবে না। মহিলাদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। আমি সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে আবেদন জানাবো তাঁরা যেন রাজ্যে-রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখেন।‘ যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অপদার্থ বলে কটাক্ষ করলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
তিনি মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন,যখন হাতরাসে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে তখন কি তিনি যোগীকে বলেছেন, জম্মু কাশ্মীরে যখন আসিফাকে ধর্ষণ করা হয়েছে তখন কি তিনি কাউকে কিছু বলেছেন। তিনি বলেছিলেন ডবল ইঞ্জিন সরকার যেখানে হবে, সেখানে নাকি নারীরা নিরাপত্তায় থাকবে। মনিপুরে তো ডবল ইঞ্জিন সরকার সেখানে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল দুই মাস ধরে তিনি নীরব ছিলেন। মনিপুরের ঘটনার দায় যেমন সেখানকার সরকারের, তেমনি দায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কতটা অপদার্থ প্রধানমন্ত্রী হলে দুই মাস পর ভাইরাল হওয়া খবর যখন সারা বিশ্বের মানুষ দেখছে এবং ছি ছি করছে, তখন তার মনে পড়েছে। কোন সভ্য দেশের মানুষ এগুলো করে না। কতটা অপদার্থ হলে এটা বলা যায়। এখন প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কেন এসব বলছেন। কেন আরএসএস কে বলছেন না। এখন ফেঁসে গিয়েছে তাই এ ধরনের কথা বলছেন। এ ধরনের লোকেদের জন্য দেশে এই ধরনের ঘটনা গুলো ঘটে থাকে।