নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা::—এসএসকে বিদ্যালয় তালা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের একাংশের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চাপানোতোর শুরু হয়েছে এলাকা জুড়ে। ঘটনা কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের শাহবাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভগবান টোলা এস এস কে বিদ্যালয়ের।
অভিযোগ, ওই বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের ঠিকমতো মিড ডে মিল না দেওয়াই অভিভাবকদের কয়েকজন তালা দিয়ে দেয় বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষে। যার জেরে পঠনপাঠনেও ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় বিদ্যালয় চত্বরে। পাশাপাশি অভিভাবকদের দাবি, গত ১৯শে জুলাই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানই বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে তালা দিতে বলে এবং তার উপস্থিতিতেই বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষগুলিতে তালা দেওয়া হয়।
যদিও মিডডে মিলে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই এসএসকে বিদ্যালয়ের প্রধান সহায়িকা ষষ্ঠীরানী সরকার। তিনি বলেন, তার ওপরে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তার দাবি, নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয়ে মিডডে মিল দেওয়া হয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, তৃতীয় সহায়িকা বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্যালয়ে আসছিলেন না তাকে সিএল নিতে বলাতেই গন্ডগোলের সুত্রপাত। নিয়মানুযায়ী সিএল অর্থাৎ ক্যাজুয়াল লিভ নিয়ে তিনি ছুটিতে যেতে পারেন। কিন্তু প্রায়শই তিনি বিদ্যালয়ে না এসে বেশিরভাগ দিনই বাড়িতে থেকে যান। এনিয়ে বারংবার তাকে জানালেও তিনি কর্নপাত করেননি। পাশাপাশি দ্বিতীয় সহায়ক দীর্ঘদিন ধরে অর্থাৎ ২০১৬সাল থেকে বিদ্যালয়ে আসেন না অসুস্থ থাকায়, তার বদলে তার ছেলে বিদ্যালয়ে আসে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিডিওকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, চতুর্থ সহায়িকাও নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না, তাকেও বারবার সতর্ক করা হলেও তিনি কর্নপাত করেননি। সব মিলিয়ে সমস্ত বিষয়ে বিডিওকে অবগত করানো জেরেই গন্ডগোলের সুত্রপাত হয়েছে। গ্রামবাসীদের একাংশকে আমার বিরুদ্ধে উসকে দিয়েই আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০২সালে ষষ্ঠীরানী সরকারের স্বামী ওই জমিটি সরকারকে দেন এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে। সরকারের তরফে ওই জমিটিতে একটি এসএসকে বিদ্যালয় তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই ওই বিদ্যালয়ে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।
Home রাজ্য উত্তর বাংলা এসএসকে বিদ্যালয় তালা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের একাংশের বিরুদ্ধে।