তিন কন্যা সন্তান হওয়ায় এক গৃহবধূকে শ্বাস রোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।

0
163

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা–-যখন সরকারের তরফে বলা হয় বার মেয়ে জন্ম নেওয়া কোন অপরাধ নয়।মেয়েকে পড়ানোর জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প মাধ্যমে মেয়েদের পাশে থাকছে সরকার। সেই পরিস্থিতিতে। তিন কন্যা সন্তান হওয়ায় এক গৃহবধূকে শ্বাস রোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, মালদহের রতুয়া থানার পাঁচপাড়া কলোনি এলাকায়। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃত গৃহবধুর নাম ছবিনা খাতুন বয়স(২৫)বছর। অভিযুক্ত স্বামী আব্দুল হান্নান। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায় বিগত সাত বছর আগে মালদা জেলার রথুয়া থানার আলিপাড়া বাসিন্দা রফিকুল আলমের মেয়ে ছবিনা খাতুনের বিয়ে হয় পাঁচ পারা কলোনির যুবক আব্দুল হান্নানের সাথে সামাজিক মতে। বিয়ের পরেই কন্যা সন্তান জন্ম নেয় তাদের পরিবারে। তখন থেকেই গৃহবধুর উপর অত্যাচার শুরু করে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। পরপর আরো দুই কন্যা সন্তান হলে গৃহবধুর ওপর আরো অত্যাচার বেড়ে যায় বলে গৃহবধুর পরিবারের সদস্যরা জানান। গতকালকে গৃহবধূকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ তোলে মৃত গৃহবধুর পরিবারের সদস্যরা। তারা জানান গতকালকে মারধোর করার পরেই গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এরপর রাতেই খবর পাই মৃত গৃহবধূর বাবা ও তার পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি রাতেই ছুটে আসে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ততক্ষণে মৃতদেহ মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। আজ মৃতদেহটি ময়না তদন্ত করা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে। এই বিষয়ে মৃত গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার পর থেকেই স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছে বলে মৃত গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানা যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রতুয়া থানার পুলিশ।