ফোনে বাবাকে চাপে থাকার কথা জানিয়েছিল স্বপ্নদিপ, গতকাল রাতে 9 থেকে 9:30 মধ্যে ছেলের সাথে শেষ কথা হয় বাবার।

0
208

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  চাপে আছি বাবা আসো, মা আসো….জানিয়েছিল স্বপ্নদীপ। যাদবপুরের কলেজ ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুর মৃত্যুতে শোকাহত এলাকার সকলে। স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুর বাড়ি, নদীয়ার হাঁসখালি থানা এলাকার বগুলা কলেজ পাড়ায়। বাবা রামপ্রসাদ কুন্ডু কো-অপারেটিভ ব্যাংক গাজনা শাখার কর্মী। মা স্বপ্না কুন্ডু আইসিডিএস কর্মী। দুই ছেলের মধ্যে স্বপ্নদ্বীপ বড় ছেলে, ছোট ছেলে স্কুলে পড়ে। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল স্বপ্নদ্বীপ। স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া সকলেই চাইছেন স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুর কিনারা করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা।
হাঁসখালির বগুলা হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ৭৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল স্বপ্নদীপ। স্বপ্ন দেখতো বাংলা সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করার। বাংলা বানানের প্রতি ঝোঁক ছিল তাঁর। স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপে শহর কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে স্নাতকে পড়ার সুযোগ পায় বগুলার স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। ৩ আগস্ট সেখানে ভর্তির পর গত রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে ছেলেকে রেখে আসেন বাবা রামপ্রসাদ বাবু।
বগুলার কলেজ পাড়া এলাকায় স্বপ্নদীপের বাড়ি। বাবা রামপ্রসাদ কুন্ডু গাজনার একটি সমবায় ব্যাংকে চাকরি করেন। মা স্বপ্না কুন্ডু বগুলা গ্রাম পঞ্চায়েতের আশা কর্মী। ছোট ভাই রত্নজিত বগুলা হাইস্কুলেই ক্লাস টেনে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল গ্রিলে তালা ঝুলছে। রানাঘাটের মিলপাড়া এলাকায় স্বপ্নদীপের মামা অরূপ কুন্ডুর বাড়িতে ছিলেন মা স্বপ্না দেবী। তখনও জানতেন না কোলের ছেলেটা আর ঘরে ফিরবে না। হোস্টেল থেকে খবর পাওয়া মাত্রই ভোরবেলা যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন রামপ্রসাদ বাবু। কিন্তু সেখানে ছেলেকে দেখতে না দিয়ে তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফিরে এসে তখন বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।
*বাইট :*
রামপ্রসাদ কুন্ডু, বাবা