নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বোর্ড গঠন নিয়ে উত্তপ্ত নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি বিজেপিকে, অভিযোগ বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যদের। ঘটনাস্থলে বিজেপি নেতা গেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে তৃণমূল ব্লক সভাপতি এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। পরবর্তীকালে পঞ্চায়েত ছেড়ে বেরিয়ে আসে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যরা। উল্লেখ্য বেলঘড়িয়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৯টি। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ১২টিতে জয়লাভ করে এবং বিজেপি ৭টিতে। তাদেরকে গণতান্ত্রিক উপায়ে অংশগ্রহণ করতে দেয়নি বলে অভিযোগ। পরবর্তীকালে এই অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতের ভেতরে তুমুল অশান্তি সৃষ্টি হয়। যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তৃণমূল, এই ঘটনায় শান্তিপুরে বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামীর দাবি, ২০১১ সালের পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে, তারপর থেকে ওই পঞ্চায়েতে নিরঙ্কর সংখ্যাগরিষ্ঠতা কখনো পায়নি তৃণমূল। এই প্রথম এই পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল ভোট দখল করলো। বিজেপি নিজেরাই ঝামেলা করেছে, এই পঞ্চায়েতে বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে, তাই তৃণমূলের নামে বদনাম করার চেষ্টা করছে। মানুষ তৃণমূলকে ঢেলে ভোট দিয়েছে বলেই আজ এত ভালো ফলাফল এই পঞ্চায়েতে। যদিও পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পরে প্রধান পদে নির্বাচিত হয় বর্ণালী বর্মন, উপপ্রধান পদে নির্বাচিত হয় দীপক মন্ডল।