দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকতেই পারে, সেটা জেলা সভাপতি হিসেবে আমাকে জানানোর জন্য দরজা খোলা রয়েছে : পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়।

0
117

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- রবিবার বিকেলে নদিয়ার রানাঘাট কলেজের পাশে থাকা বিবেকানন্দ মূর্তির পাদদেশ থেকে বিক্ষুব্ধ বিজেপির জনা পঞ্চাশ নেতা-কর্মী দলীয় পতাকা ও প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল শুরু করেন। তাতে লেখা হয়- “রানাঘাটের সাংসদ বিজেপির জগন্নাথ সরকার ও নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে দল থেকে অপসারিত করতে হবে।” মিছিলটি ওল্ড বহরমপুর রোড ধরে জেলা পার্টি অফিসের দিকে কিছুটা এগোতেই বাসস্ট্যান্ডের কাছে মিছিলের উপর লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত আক্রমণ করে বিজেপি অপর গোষ্ঠী। 

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা পার্টি অফিসে ৯টি সাংগঠনিক জেলার নেতাদের বৈঠক চলছিল। সেজন্য দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে পার্টি অফিসে জমায়েত হতে চেয়েছিল। উল্টোদিকে মিছিল যাতে কোনও ভাবেই পার্টি অফিসের কাছে পৌঁছাতে না পারে, সেজন্য জেলা সভাপতি পার্থসারথির শিবিরের লোকজন মিছিলের উপর আক্রমণ চালিয়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

আক্রান্ত বিজেপি নেতা তথা রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে জেলার দক্ষিনে আমাদের ফল ভালো হয়েছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের জেলা নেতৃত্ব আমাদের সঙ্গে বৈষম্য মূলক আচরণ করেছে। তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করার কারণেই দলের ফল খারাপ হয়েছে। তাই আমরা রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও দলের জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে অপসারণ করার দাবিতে এ দিন শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। বর্তমানে যারা বিজেপির পদে রয়েছেন, তাদের একটা অংশ আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদেরকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।”

যদিও এ দিনের মিছিলের সামিল হওয়া নেতাকর্মীরা দলের নিয়ম না মেনে মিছিল করছিল বলে দাবি করেছেন নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকতেই পারে। সেটা জেলা সভাপতি হিসেবে আমাকে জানানোর জন্য দরজা খোলা রয়েছে। তাই বলে রাস্তায় নেমে মিছিল করতে হবে, প্রতিবাদ জানাতে হবে- বিষয়টিকে দল সমর্থন করে না।”