একের পর এক পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হতেই সরব তৃনমূল নেতা কর্মীরা।

0
152

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- একের পর এক পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হতেই সরব তৃনমূল নেতা কর্মীরা।লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অযোগ্য ব্যক্তিদেরকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল বলেই পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ
তৃনমূল নেতা কর্মীদের।ব্লক সভাপতি মানিক দাস ও তৃনমূল নেতা রৌশন
জামির এর বিরুদ্ধে টিকিট বিক্রির অভিযোগ তুলে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে নামলেন তৃনমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা।রবিবার দুপুর একটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের রশিদাবাদ,
বরুই,কুশিদা ও তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় পাঁচ শতাধিক তৃনমূল কর্মী কতোল গ্রামে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।যদিও ব্লক সভাপতি মানিক দাস তাঁর বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।তাঁর বক্তব্য যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা তৃনমূলের কেউ না।পঞ্চায়েত ভোটে সিপিআইএম ও নির্দল প্রার্থীর হয়ে তারা
ভোট চেয়েছে।আজ তারাই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।তৃনমূল কর্মীদের অভিযোগ,
হরিশ্চন্দ্রপুর-১’বি’ ব্লকের সভাপতি মানিক দাস ও তৃনমূল নেতা রৌশন জামির মিলিতভাবে পঞ্চায়েতের টিকিট বিক্রি করেছে।অন্য দল থেকে আসা অযোগ্য ব্যক্তিদেরকে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে টিকিট দিয়েছে।যার জন্য তুলসীহাটা, রশিদাবাদ,বরুই ও কুশিদা চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হয়ে পড়েছে।অপরদিকে রশিদাবাদ
গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুয়া ৫৭ নং বুথের পরাজিত নির্দল প্রার্থী মহম্মদ দাবির সোশ্যাল মিডিয়ায় টাকা ফেরত চেয়ে পোষ্ট করতেই তৃনমূল নেতা রৌশন জামির এর হুমকির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ।আবার ওই তৃনমূল নেতা রাতের অন্ধকারে টাকা ফেরত দিতে আসলে সেই টাকা ফেরতের ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।এই নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।তবে তৃনমূল নেতা রৌশন জামির জানান,দাবির একজন কাপড়ের দোকানদার।সে তার কাছে কাপড়ের টাকা পাচ্ছিল।সেই বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে তার দোকানে গিয়েছিলেন।গোপনভাবে কেউ তার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিয়েছে। তবে যারা এই নোংরামী করছে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবেন।