পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:– সামনেই শিল্প দেবতা বিশ্বকর্মা দেবের পুজো,কিন্তু তা সত্ত্বেও মুখে হাসি নেই মৃৎশিল্পীদের। এই বিশ্বকর্মা পূজা দিয়ে এই বাঙালির উৎসবের শুরু। কিন্তু দিন দিন কমছে বিশ্বকর্মা প্রতিমার অর্ডার। আবার যে কটা অর্ডারে বিশ্বকর্মার মূর্তি বানানো হয়েছে সেখানেও সমস্যা। কারণ এই বৃষ্টি এই রোদ, প্রাকৃতিক খাম খেয়ালিপনায় নাজেহাল মৃৎশিল্পীদেরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় মৃৎশিল্পীদের আগের তুলনায় রোজকার অনেকটাই কম হয়ে দাঁড়িয়েছে। হলে মুখ ভার মৃৎশিল্পীদের। কিন্তু শিল্প নগরী হলদিয়ায় বছরের পর বছর কেন কমছে বিশ্বকর্মা মূর্তির চাহিদা। এই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে জানা যায়। শেষ কয়েক বছরে হলদিয়ায় অনেক পুরনো কলকারখানা বন্ধ হয়েছে। সে ভাবে নতুন করে কোন বড় ফল কারখানা গড়ে ওঠেনি। ফলে বন্ধ হয়েছে অনেক অনুসারী ছোট ও ক্ষুদ্র কলকারখানা। আর কলকারখানা বন্ধ হওয়ায় বিশ্বকর্মা পুজোয় জৌলুস হারিয়েছে হলদিয়া। কমেছে আগের তুলনায় পুজোর সংখ্যা। ফলে বরাদ্ কমেছে মৃৎশিল্পীদের। আর এই কারণে অনেক প্রতিমা শিল্পী মূর্তি গড়ার কাজ বাদ দিয়ে অন্য পেশা গ্রহণ করেছে। এবারও বিশ্বকর্মা পূজায় হলদিয়ার চিত্রটা বদলালো না। শেষ বছরে তুলনায় আরও কমল মূর্তি তৈরির বরাদ্। ফলে মৃৎশিল্পীদের কাছে সে ভাবে মূর্তি তৈরি অর্ডার আসেনি। যে কটি অর্ডার মৃৎশিল্পীরা পেয়েছেন সেই মূর্তি তৈরি করতেও প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা সমস্যায় পড়েছে শিল্পীরা। থেকে থেকে রোদ বৃষ্টি মূর্তি তৈরিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। বিশ্বকর্মা পুজোর যত এগিয়ে আসছে শিল্পীদের মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ততা তত বাড়ছে। তবে তারা আশাবাদী যে কটি মূর্তি তারা তৈরি করছেন তা পুজোর আগের দিন সম্পূর্ণ করতে পারবে। মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বছর বছর বিশ্বকর্মা মূর্তির তৈরিতে অর্ডার কম হওয়ায় আর্থিক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।