নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। আগত দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় খুঁটিপুজো থেকে শুরু করে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি পর্ব। উৎসবের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্গা প্রতিমার অঙ্গসজ্জার সাজ শিল্পীদের কারখানা সহ প্রতিমা প্রস্তুতকারক বিভিন্ন কুমোর পাড়ায়। দেবী মূর্তির মাতৃ প্রতিমা প্রস্তুত হওয়ার পর তা সর্বসাধারণের মাঝে দৃষ্টিনন্দন কোরে তুলতে বিভিন্ন ধরনের অলংকার দিয়ে প্রতিমার অঙ্গ সাজের ভূমিকা অপরিসীম। যার ফলে দুর্গাপূজার সূচনা কালে দেবী মূর্তির সাজ প্রস্তুত করার লক্ষ্যে নিরলস কর্মব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেল নদিয়ার কৃষ্ণনগর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চকের পাড়ার বাসিন্দা পেশায় ডাকের সাজ শিল্পী তন্ময় মোদকের কারখানায়। শিল্পী তন্ময় মোদকের তৈরি প্রতিমার ডাকের সাজ এবার পাড়ি দেবে ভিন রাজ্যে। দীর্ঘ দু-তিন বছর করোনা আবহ কাটিয়ে এই বছর ফেলে আসা পুরনো ছন্দ ফিরে পেয়েছেন ডাক শিল্পীরা। যার কারণে করোনা কালে ব্যবসার অভূতপূর্ব ক্ষতি সামাল দিয়ে এই বছর কিছুটা হলেও বাড়তি রোজগারের আশায় বুক বাধছেন সাজ শিল্পীরা। পাশাপাশি চলতি বছরে ডাকের সাজের বাড়তি চাহিদা রয়েছে বলে জানান তনময় বাবু। তিনি বলেন, দুর্গোৎসব উপলক্ষে এই বছর তার কারখানায় তৈরি ডাকের সাজ কলকাতার কুমারটুলি ছাড়াও ত্রিপুরা, আসাম ও উত্তরপ্রদেশে পাড়ি দেবে। দেবী প্রতিমার এই সাজ তৈরি হয় মূলত তার দিয়ে। চলতি বছরে ভিন রাজ্য থেকে অধিকসংখ্যক বায়নানামা থাকার কারণে এই মুহূর্তে তার কারখানায় দিনরাত পরিশ্রম করে দেবীর সাজ তৈরি করে চলেছেন ৬ জন কারিগর। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর ব্যবসায়িক ক্ষতি কাটিয়ে উঠে অভিশপ্ত করোনা কাল যাতে আর ফিরে না আসে সে কথাই জানান কৃষ্ণনগরের এই ডাকের সাজ শিল্পী তন্ময় মোদক।