ঋণ প্রদানকারী সংস্থার চরম অবমাননা, লজ্জায় আত্মঘাতী দম্পতি।

0
263

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- ছেলের জন্য ঋণ নিয়েছিল,কিস্তির টাকা সময়মতো ঠিকঠাক না মেটাতে পারায় ঋণ প্রদানকারী সংস্থার দ্বারা চরম অপমানিত হতে হয়, দম্পতির উপরে বাজেভাবে হেনস্থার অভিযোগ। লজ্জায় চরম সিদ্ধান্ত দম্পতির, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় অসহায় দম্পতি। জানা গেছে মৃত দম্পতির নাম হেমন্ত মালিক, বয়স ৬৫, রেখা মালিক, বয়স ৫৫। তাদের দুই ছেলে, বড়ো ছেলে মনেশ মালিক ও ছোট ছেলে রমেশ মালিক। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড় থানার অন্তর্গত বড়শুলের গোপালপুর গ্রামে। মৃত দম্পতির পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুটি মাইক্রো ফাইনান্স কোম্পানি থেকে এক লক্ষ ও দেড় লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা হেমন্ত মালিক। হেমন্ত বাবু নিজের নামে এক লক্ষ টাকা এবং তার স্ত্রী রেখা মালিকের নামে দেড় লক্ষ টাকা ঋণ নেন ছেলের প্রয়োজনে। আর্থিক অনটনের কারণে ঠিকঠাক পরিশোধ হচ্ছিল না কিস্তির টাকা। পরিবার সূত্রে আরও জানা যায়, গত ১৮ ই সেপ্টেম্বর হেমন্ত মালিক তার স্ত্রী রেখা মালিক কে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি জামালপুর থানার জামদহ গ্রামে যান। ১৯ শে সেপ্টেম্বর মাইক্রো ফাইনান্স এর লোকেরা গিয়ে হেমন্ত বাবু স্ত্রী কে হাত ধরে টানাটানি করে ঘর থেকে বাইরে বের করে আনেন। চূড়ান্ত অপদস্ত করা হয় সকলের সামনে,এছাড়াও বাজে ভাষায় কথাও বলে ঋণদানকারী সংস্থার কর্মীরা। পরে ২০ শে সেপ্টেম্বর বুধবার নিজ বাড়ি শক্তিগড় থানার গোপালপুর গ্রামে ফেরেন। রাতের বেলায় হেমন্ত মালিক ও রেখা মালিক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান শক্তিগড় থানার পুলিশ। উদ্ধার করে দুটি দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বড়শুল হাসপাতালে, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের তরফে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে, বৃহস্পতিবার। পরিবারসহ গোটা এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।